ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের তিন সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠনের সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে; এরমধ্যে ছাত্রলীগের সম্মেলন হবে আগামী ৩ ডিসেম্বর। আর ২৬ নভেম্বর মহিলা লীগ ও ৯ ডিসেম্বর যুব মহিলা লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী এ তিন সংগঠনের সম্মেলনের দিনক্ষণ ঠিক করা হয়েছে। ‘আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আগেই এই তিন সংগঠনকে সম্মেলন করার প্রস্তুতি নিতে নির্দেশনা দিয়েছিলেন,’ যোগ করেন তিনি। খবর বিডিনিউজের।
আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া জানান, তিনটি সম্মেলনই হবে সোহরাওয়াদী উদ্যানে। আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিনটি সম্মেলনেই উপস্থিত থাকবেন। এর আগে গত ১০ মে সম্পাদকমণ্ডলীর সঙ্গে সহযোগী সংগঠনগুলোর বৈঠকের পর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সংগঠনগুলোর সম্মেলন আয়োজনের কথা জানিয়েছিলেন। আর আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলন বসবে আগামী ২৪ ডিসেম্বর। ছাত্রলীগের সর্বশেষ ২৯তম জাতীয় সম্মেলন হয়েছিল ২০১৮ সালের ১১ ও ১২ মে। নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন ছাড়াই শেষ হয় ওই সম্মেলন। এর আড়াই মাস পর ৩১ জুলাই আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনকে সভাপতি এবং গোলাম রাব্বানীকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি চূড়ান্ত করেন।
পরে চাঁদাবাজির অভিযোগে সমালোচনার মুখে থাকা শোভন ও রাব্বানীকে ২০১৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর ছাত্রলীগের নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। একই সময়ে সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়, প্রথম সহ-সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়কে। ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য। পরে ২০২০ সালের ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে তাদের সভাপতি ও সাধারাণ সম্পাদক করা হয়। এর আগে সম্মেলনের এক বছর পর ২০১৯ সালের ৩১ মে ৩০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়।
অপরদিকে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুব মহিলা লীগের প্রথম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০০৪ সালের ৫ মার্চ। তখন নাজমা আক্তারকে সভাপতি ও অপু উকিলকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল।
২০১৭ সালের ১৭ মার্চে সংগঠনটির দ্বিতীয় জাতীয় সম্মেলনে সভাপতি পদে নাজমা আক্তার ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে অপু উকিল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পুনঃনির্বাচিত হন। আর ২০১৭ সালের ৪ মার্চ সম্মেলনের মাধ্যমে মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন সাফিয়া খাতুন, সাধারণ সম্পাদক হন মাহমুদা বেগম। তার আগের সম্মেলন হয়েছিল ২০০৩ সালের ১২ জুলাই। ওই সম্মেলনে আশরাফুন্নেসা মোশাররফ সভাপতি ও ফজিলাতুন্নেসা ইন্দিরা সাধারণ সম্পাদক হন। পরে পিনু খান ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হন।