চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ও নতুন কমিটি গঠন করার দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে তালা দিয়েছে শাখা ছাত্রলীগের দুইটি উপগ্রুপ। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টার দিকে ফটকে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক সংগঠন বিজয়ের একাংশ ও ভিএঙ গ্রুপের নেতাকর্মীরা। পরে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের আশ্বাসে প্রায় তিন ঘণ্টা পর অবরোধ প্রত্যাহার করে নেয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। তবে শোকের মাসে ছাত্রলীগের এমন কর্মকাণ্ড শোভা পায় না বলেও মন্তব্য করেছেন সংশ্লিষ্টরা। এর আগে বুধবার রাতে শাখা ছাত্রদলের সভাপতি মোহাম্মদ আলাউদ্দিনের বাসার সামনে ককটেল বিস্ফোরণ করে ছাত্রলীগের একটি উপগ্রুপ। বুধবার দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় চবি শাখা ছাত্রলীগের উপগ্রুপ ভিএঙ বিক্ষোভ মিছিলও করেন।
এদিন সকালে ক্যাম্পাসে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সভাপতি মোহাম্মদ আলাউদ্দিন ও সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেনের নেতৃত্বে আনন্দ মিছিল করা হয়। শোকের মাস আগস্টে আনন্দ মিছিল করার প্রতিবাদে রাতে পাল্টা মিছিল করে ছাত্রলীগের উপগ্রুপ ভিএঙ। বৃহস্পতিবার বিকালে টায়ার জ্বালিয়ে কমিটি বাতিলের স্লোগান দিতে থাকেন নেতাকর্মীরা। নেতাকর্মীদের দাবি, এক বছর মেয়াদের এই কমিটির চার বছর হয়েছে, তাই এটি অবৈধ কমিটি। দীর্ঘদিন এই কমিটি থাকায় চবি ছাত্রলীগের সাংগঠনিক গতিশীলতা কমে গেছে। তাই তারা এই কমিটির বিলুপ্তি চায়।
ভিএঙ গ্রুপের নেতা ও শাখা ছাত্রলীগের সহ–সভাপতি প্রদীপ চক্রবর্তী দুর্জয় বলেন, কমিটির চার বছর হওয়ায় বর্তমান নেতৃত্বের মধ্যে একটি অচল অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। মেয়াদোত্তীর্ণ এই কমিটি অবৈধ। আমাদের নেতাকর্মীরা ক্ষুব্ধ হয়ে এই অবরোধের ডাক দিয়েছে। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের আশ্বাসে আমরা অবরোধ স্থগিত করেছি। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর নূরুল আজিম সিকদারের মোবাইলে একধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ১৪ জুলাই এক বছরের জন্য চবি ছাত্রলীগের দুই সদস্যের কমিটি গঠন করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। কমিটিতে পরিসংখ্যান বিভাগের ২০০৬–৭ শিক্ষাবর্ষের রেজাউল হক রুবেলকে সভাপতি ও মার্কেটিং বিভাগের ২০১০–১১ শিক্ষাবর্ষের ইকবাল হোসেন টিপুকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। এর তিন বছর গতবছরের ৩১ জুলাই চবি ছাত্রলীগের ৩৭৬ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করা হয়। পূর্ণাঙ্গ কমিটির পর থেকেই ছাত্রলীগ নেতা কর্মীদের মধ্যে আক্ষেপ দেখা দেয়। বিভিন্ন সময়ে বর্ধিত কমিটি ও নতুন কমিটির জন্য কয়েক দফা আন্দোলন করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।