জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরদের জন্য বরাদ্দ ৩০ শতাংশ প্রমোশন কোটা বাতিলসহ ছয় দফা দাবিতে গত কয়েকদিন ধরে দেশব্যাপী আন্দোলন করছেন পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা। তারই ধারাবাহিকতায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এ সময় শিক্ষার্থীরা প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ, উপাধাক্ষ্যসহ বিভিন্ন কার্যালয়ে তালা দেন।
তবে আন্দোলনরত পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীদের ছয় দফা দাবি বাস্তবায়নের রূপরেখা প্রণয়নে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কমিটি গঠনের পর আন্দোলন সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সংবাদ সম্মেলন করে চলমান আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা। তবে দাবি বাস্তবায়নে গড়িমসি দেখলে ফের আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা। আট সদস্যের এ কমিটিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্লাটফর্ম কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের একজন উপদেষ্টাও সদস্য হিসেবে আছেন। কমিটিকে তিন সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টররা কারিগরি ব্যাকগ্রাউন্ডের নন। অধিকাংশই অষ্টম শ্রেণি কিংবা এসএসসি পাস, যাদের মূল দায়িত্ব ল্যাব সহকারী হিসেবে কাজ করা। তাদের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হলে শিক্ষার্থীরা প্রকৃত কারিগরি শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হবেন।
শিক্ষার্থীদের ছয় দফা দাবি হল জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে শিক্ষাগত যোগ্যতা বাধ্যতামূলক ডিপ্লোমা ডিগ্রি থাকতে হবে, ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরসহ সকল পদে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত জনবল নিয়োগ দিতে হবে, পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটের ছাত্রদের জন্য সব বিভাগীয় শহরে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় অতি শিগগিরই স্থাপন করতে হবে, কারিগরি শিক্ষা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক পদে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীর চাকরির আবেদন বাস্তবায়ন করতে হবে, ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের জন্য প্রাইভেট সেক্টরে সর্বনিম্ন বেতন স্কেল নির্ধারণ করে দিতে হবে এবং জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের ৩০ শতাংশ কোটা অনতিবিলম্বে বিলুপ্ত করতে হবে।