ছদাহা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতিকে বহিস্কার না করলে গণপদত্যাগের হুমকি

নৌকার পরাজিত প্রার্থীর সংবাদ সম্মেলন

সাতকানিয়া প্রতিনিধি | শুক্রবার , ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ at ৮:৫৬ পূর্বাহ্ণ

সাতকানিয়ায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ায় ছদাহা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মুজিবুর রহমানকে দল থেকে বহিস্কারের দাবি জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী (পরাজিত) মোঃ মোসাদ হোসাইন চৌধুরী। অন্যথায় ছদাহা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ পদত্যাগ করবেন বলে জানান তিনি। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতকানিয়ার বায়তুল ইজ্জত এলাকায় একটি রেস্টুরেন্টে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ছদাহা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ আলম দুলু, সিনিয়র সহ সভাপতি তাজুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম, নেচার আহমদ, প্রচার সম্পাদক আহসানুল্লাহ রাশেদ, আওয়ামী লীগ নেতা আবু তাহের, নুরুল হক, সৈয়দ আহমদ, ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আবদুর রহিম জয়, সাধারণ সম্পাদক মনজুর আলম, ইউনিয়ন তাঁতী লীগের সভাপতি জামাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হারুন, ছদাহা ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি আহমেদ কবির ও সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের।
পরপর দুই বারের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ মোসাদ হোসাইন চৌধুরী স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ মোরশেদুর রহমানের কাছে মাত্র ২৯২ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন।
সংবাদ সম্মেলনে মোসাদ হোসাইন চৌধুরী বলেন, ‘ছদাহা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মুজিবুর রহমানসহ দলের কিছু নেতা নৌকার বিরুদ্ধে গিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছেন। এ কারণে আমি পরাজিত হয়েছি।’ কার ইন্ধনে তিনি নৌকার বিরুদ্ধে কাজ করেছেন তা খতিয়ে দেখার দাবি জানান তিনি।
মোসাদ হোসাইন চৌধুরী আরো বলেন, সভাপতি মুজিবুর রহমানের নিজের কেন্দ্রে নৌকা সবচেয়ে কম ভোট পেয়েছে। অথচ এ কেন্দ্রে গত বারের নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে আমি প্রথম হয়েছিলাম। মুজিবের ষড়যন্ত্রের কারণে ছদাহায় নৌকা পরাজিত হয়েছে। মুজিব নিজে দাঁড়িয়ে থেকে ছোট ঢেমশা ফোরকানিয়া মাদ্রাসা কেন্দ্র থেকে নৌকার এজেন্টদেরকে মারধর করে বের করে দিয়েছেন। মূলত আওয়ামী লীগের সভাপতির কাছেই নৌকা হেরে গেছে। ফলে নৌকার শত্রু ও আওয়ামী লীগের শত্রু মুজিবুর রহমানকে বহিস্কারের দাবি জানাচ্ছি। তাকে দল থেকে বহিস্কার না করলে আমরা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা গণহারে পদত্যাগ করবো।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ছদাহা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মুজিবুর রহমাান বলেন, ‘আমি ভোট কেন্দ্র থেকে কোনো এজেন্ট বের করে দিইনি। জামায়াত শিবিরের ওপর নির্ভরশীলতার কারণে মোসাদ নির্বাচনে হেরেছেন।’

পূর্ববর্তী নিবন্ধআইইবি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের মানববন্ধন
পরবর্তী নিবন্ধচবি আইকিউএসির অনলাইন কর্মশালা