‘এই সংসদ আয়ের পরিমাণের বদলে একজন নাগরিক যে পরিমাণ সুযোগ–সুবিধা ও অধিকার নিয়ে বেড়ে উঠেছে সেটির ভিত্তিতে তার আয়কর নির্ধারণ করবে’ –এমন প্রস্তাব নিয়ে অনুষ্ঠিত দৃষ্টি চট্টগ্রাম আয়োজিত এবং মার্কস ফুল কিম মিল্ক পাউডারের পৃষ্ঠপোষকতায় আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় বিতর্ক প্রতিযোগিতার গ্র্যান্ড ফাইনাল জমে ওঠে তুমুল বিতর্ক। গত ১৭ আগস্ট ফাইনালে সরকার দল হিসেবে অংশ নেয় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিরোধী দল হিসেবে অংশ নেয় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। সরকার দল তাদের বক্তব্যে দেখানোর চেষ্টা করে যে একজন নাগরিক প্রথম আঠারো বছরে রাষ্ট্র থেকে যে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক সুযোগ–সুবিধা গ্রহণ করেছে, তার ভিত্তিতেই আজীবন আয়কর নির্ধারিত হওয়া উচিত, এতে গ্রামীণ ও শহুরে নাগরিকের মধ্যে সমতার সুযোগ সৃষ্টি হবে। অপরদিকে বিরোধী দল যুক্তি দেয়, বর্তমান ইনকামভিত্তিক করব্যবস্থা অধিক কার্যকর ও বাস্তবসম্মত, কারণ তাদের প্রস্তাবিত পদ্ধতিতে কর নির্ধারণ করা জটিল হয়ে যাবে এবং রাজস্ব আদায়ে সমস্যা দেখা দেবে। দীর্ঘ প্রতিযুক্তির পর শেষ পর্যন্ত জয়লাভ করে বিরোধী দল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটি)। সরকারি দলের হয়ে বিতর্কে অংশ নেন আরাফাত হোসেন, অর্ণব মিত্র ও কে এম এরফান খান এবং বিরোধী দলের হয়ে অংশ নেন মিরাজ বিশ্বাস, ফাতিমা তুজ জোহরা বৈশাখী ও সাদাত ইবনে ইসলাম। এবারের আয়োজনে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মোট ২৬টি বিশ্ববিদ্যালয় বিতর্কদল অংশগ্রহণ করে। ব্যক্তিগত পুরস্কারে প্রতিযোগিতার সেরা বিতার্কিক নির্বাচিত হন জাহাঙ্গীরনগরের মিরাজ বিশ্বাস এবং ফাইনালের সেরা বক্তা হন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কে এম এরফান খান। বিতর্ক শেষে স্কুল বিতর্ক কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী ও বিতর্কে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন চসিকের সাবেক জনসংযোগ কর্মকর্তা সাইফুদ্দীন সাকী ও দৈনিক প্রথম আলোর হেড অব নিউজ আশরাফ রুবেল। দৃষ্টি চট্টগ্রামের সভাপতি সাইফ চৌধুরীর সভাপতিত্ব অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন, দৃষ্টির প্রতিষ্ঠাতা মাসুদ বকুল, সহসভাপতি শহীদুল ইসলাম, সাবের শাহ, সাধারণ সম্পাদক রিদোয়ান আলম আদনান, সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্না মজুমদার ও নির্বাহী সদস্যা আফসানা তমা। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।৩