ভারতের শিরোপা জয়ের মাধ্যমে পর্দা নেমেছে ২০২৪ টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের। ২০১১ সালের পর প্রথমবারের মতো বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বাদ পেয়েছে তারা। আর টি–টোয়েন্টির হিসাবে ২০০৭ সালের পর এটি তাদের প্রথম শিরোপা। এবারের বিশ্বকাপের জন্য মোট ১১.২৫ মিলিয়ন ডলার বা ১৩২ কোটি টাকা প্রাইজমানির ঘোষণা দিয়ে রেখেছিল আইসিসি। অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক দলই মোটা অঙ্কের অর্থ পেয়েছে। সবচেয়ে বেশি অর্থ গেছে চ্যাম্পিয়ন ভারতীয় দলের ঝুলিতে। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে রোহিত–কোহলিরা প্রাইজমানি হিসেবে নিয়ে গেছেন ২.৪৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৮ কোটি ৭৬ লাখ টাকা)। রানার্সআপ হওয়া দক্ষিণ আফ্রিকাও পেয়েছে মোটা অঙ্কের অর্থ। প্রথমবার বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলে ৭ রানে হারলেও পাচ্ছে ১২ লাখ ৮০ হাজার ডলার বা প্রায় ১৫ কোটি ২ লাখ টাকা। সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নেওয়া ইংল্যান্ড ও আফগানিস্তান পাচ্ছে ৭ লাখ ৮৭ হাজার ৫০০ ডলার বা প্রায় ৯ কোটি ২৪ লাখ টাকা। সুপার এইট থেকে বিদায় নেওয়া দলগুলো পাচ্ছে বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা। সুপার এইটে খেলা বাংলাদেশ পাচ্ছে এই পরিমাণ অর্থ। সমান অর্থ পাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া, ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং যুক্তরাষ্ট্রও। নবম থেকে দ্বাদশ এবং ১৩তম থেকে ২০তম স্থানে থাকা দলগুলোও পাচ্ছে দুই কোটি টাকার বেশি। এ ছাড়া ফাইনাল ও সেমিফাইনাল বাদে প্রতিটি জয়ের জন্য দলগুলো পেয়েছে বাড়তি ৩৬ লাখ ৫৭ হাজার টাকা করে। সুপার এইটে পাওয়া অর্থের সঙ্গে এটা যোগ করলে বাংলাদেশের আয় আরও বেশি। বাংলাদেশ মোট তিন ম্যাচ জিতে বাড়তি আয় করেছে ১ কোটিরও বেশি। সব মিলিয়ে সাড়ে পাঁচ কোটি টাকার বেশি আয় করেছে শান্তবাহিনী।