শেষ বাঁশি বাজতেই মাঠে বসে পড়লেন এস্তেভো উইলিয়ান। হতাশায় দু হাত দিয়ে ঢাকলেন মুখ। ছুটে এসে পিঠ চাপড়ে দিয়ে তাকে সান্ত্বনা দিলেন কোল পালমার ও চেলসির বেশ কজন ফুটবলার। ক্লাব বিশ্বকাপে পালমেইরাসের স্বপ্নময় পথচলা শেষ হলো ম্যাচ হেরে। এস্তেভোর হতাশা সেই কারণেই। তবে কদিন পরই তো নতুন স্বপ্নের পথে ছোটা শুরু হবে তার চেলসির জার্সিতেই! প্রতিভার ঝলক দেখিয়ে ব্রাজিলে ‘মেসিনিয়ো’ বা ছোট মেসি নামে খ্যাতি পেয়ে যাওয়ার এস্তেভোর সঙ্গে গত বছরের জুনেই চুক্তি পাকা করে রেখেছে চেলসি। অপেক্ষা ছিল তার ১৮ বছর পূর্ণ হওয়ার। সেটিও হয়ে গেছে গত এপ্রিলে। এই ক্লাব বিশ্বকাপ শেষেই আনুষ্ঠানিকভাবে চেলসির হয়ে যাবেন তিনি। কাকতালীয়ভাবে সেই চেলসির সঙ্গেই তার ক্লাব পালমেইরাসের দেখা হয়ে গেল কোয়ার্টার–ফাইনালে। চেলসি ও ইউরোপের আরও বেশ কিছু ক্লাব কেন তাকে পেতে মরিয়া ছিল, সেটির নমুনা কিছুটা এই ম্যাচেও তিনি দেখান। উপহার দেন অবিশ্বাস্য এক গোল। কিন্তু আত্মঘাতী গোলে ম্যাচ হেরে যায় পালমেইরাস। ক্লাব বিশ্বকাপের ম্যাচটিতে পালমেইরাসকে ২–১ গোলে হারিয়ে সেমি–ফাইনালে পৌঁছে যায় চেলসি। ৫৩তম মিনিটে অবিশ্বাস্য এক কোণ থেকে গুলির বেগে শটে চোখধাঁধানো গোল করে পালমেইরাসকে সমতায় ফিরিয়েছিলেন এস্তেভো। টুর্নামেন্টে পালমেইরাসের বিদায়ের সাথে সাথে এই ক্লাবের হয়ে এস্তেভোর পথচলারও সমাপ্তি ঘটল। দল হারলেও ম্যাচ–সেরা ছিলেন ১৮ বছর বয়সী এই উইঙ্গারই। ম্যাচ শেষে সমর্থকদের কাছ থেকে আবেগময় আবহে বিদায় নেন এস্তেভো।