৬৩ বছরে পদার্পণে আমার ভালোবাসা দৈনিক আজাদীকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা। একটি আঞ্চলিক পত্রিকাকে যেই সব দিক বা বিষয়ে লড়াই করে টিকে থাকতে হয় চট্টগ্রামের আঞ্চলিক পত্রিকা দৈনিক আজাদী’ এক অর্ধশতাব্দীরও বেশি সময় ধরে সে সব সমস্যার প্রায় সবগুলোর সাথে লড়াই করে আজও টিকে আছে। এই সত্য উপলব্ধির মাধ্যমে দৈনিক সংবাদপত্র হিসেবে বাংলাদেশের সংবাদপত্রে প্রকাশনা শিল্পের অভিযাত্রায় অন্যতম অগ্রপ্রথিক, চট্টগ্রামের সাংবাদপত্র, সাংবাদিকতা ও আধুনিক মুদ্রণ শিল্প জগতের অন্যতম পথিকৃৎ, চট্টগ্রামের প্রথম ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার ও প্রাচীনতম সংবাদপত্র দৈনিক আজাদীর প্রয়াত প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আবদুল খালেক দৈনিক আজাদী প্রকাশ করে ১৯৬০ সালের ৫ সেপ্টেম্বর থেকে চট্টগ্রামের মানুষের সাথে সুখে দুখে জড়িয়ে আছেন। আজও মোমিন রোড চেরাগী পাহাড়ের মোড়ে গেলে একবার আজাদী অফিসের দিকে উঁকি মারি। প্রথমে আজাদী অফিসের কথা মনে পড়ে যায়। ১৯৮৬ সালে বিশ্ব ফুটবলে আজাদী এক অভিনব পদ্ধতি চালু করেন দর্শকের জন্য কুইজ প্রতিযোগিতা। ফাইনালে আর্জেন্টিনা-পশ্চিম জার্মানিকে ৩-২ হারিয়ে দিয়াগো মারাডোনার নেতৃত্বে বিশ্বকাপ শিরোপা জেতে। আমি সেই কুইজ প্রতিযোগিতা ফাইনালে অংশ গ্রহণ করি
কুইজ জিতে ছিলাম।এখন মনে পড়ে আমাকে জনতা ব্যাংকের চেক দেওয়া হয়েছিল। সেইদিন পত্রিকায় আমার ছবিও ছাপানো হয়েছে। সেই থেকে আজাদীর সঙ্গে জড়িয়ে গেলাম। কত শতবার আজাদী অফিসে গিয়েছি। রাজনীতি বা সামাজিক কারণে নিউজ দিতে আর কত বার আমাদের নিউজ ছাপানো হয়েছে তা বলে শেষ করা যাবে না। তারপরে অভিনব পদ্ধতি চালু করেন ‘সুখে দুখে ফেসবুকে’ আমার কত অনুভূতি প্রকাশ করেছে বলে শেষ করা যাবে না। দৈনিক আজাদী আজ ৬৩ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে আজাদী সম্পাদকসহ যারা দিনরাত মানুষের ভাগ্য বদলায়, সত্য সুন্দর ও কল্যাণের পথে একাগ্রতা আর নিষ্ঠার সাথে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন সেই সব শ্রদ্ধাভাজন মানুষকে জানাই আমার পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা ও ফুলেল শুভেচ্ছা।