চেয়ারম্যান পদে লড়তে চান আওয়ামী লীগের ১২ নেতা

উপজেলা নির্বাচন : পটিয়া

শফিউল আজম, পটিয়া | সোমবার , ২৯ জানুয়ারি, ২০২৪ at ৮:১২ পূর্বাহ্ণ

প্রথম ধাপে পটিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা মাথায় রেখে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীরা দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। নির্বাচনী আমেজে রয়েছেন আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীরা। শরিক দল জাতীয় পার্টি থেকেও একজনের নাম শোনা যাচ্ছে। তবে বিএনপিসহ অন্য দল নির্বাচন থেকে দূরে রয়েছে। উপজেলা ও পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নৌকা প্রতীক দেবে না বলে ঘোষণা দেয়ায় দলের অনেকেই নির্বাচন আগ্রহী হয়েছেন। অনেক মনোনয়ন প্রত্যাশী দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগের পাশাপাশি সামাজিক কর্মকাণ্ডে নিজেদের সম্পৃক্ত রেখেছেন।

পটিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগের এক ডজন প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে। এছাড়া জাতীয় পার্টির একজনের নাম শোনা যাচ্ছে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ থেকে অব্যাহতি নেন সংসদ সদস্য ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী। এরপর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেন ভাইস চেয়ারম্যান ডা. তিমির বরণ চৌধুরী। তিনি এর আগে দুইবার ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি এবার চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন। অন্যদিকে পটিয়া পৌরসভার দুই বারের সাবেক মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক হারুনুর রশিদ নির্বাচনী দৌড়ে আছেন। তিনি জানান, সরকার ইতোমধ্যে দলীয় প্রতীক তুলে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। তারপরও দলের নবনির্বাচিত এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীসহ সবার সাথে সমন্বয় করে এবং আমার পরিবার ও শুভাকাক্সক্ষীদের মতামত নিয়ে আমি প্রার্থী হতে চাই।

দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ দাশ বলেন, আজীবন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি করেছি। আগামী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছে পোষণ করছি। সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সাথে পরামর্শ করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব।

যুবলীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ বদিউল আলম জানান, ছাত্রলীগের রাজনীতি করতে গিয়ে বিএনপিজামায়াতের হামলার শিকার হয়েছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুক্তি আন্দোলন থেকে শুরু করে পটিয়া ও রাজধানীতে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনসহ সকল আন্দোলন সংগ্রামে অংশ নিয়েছি। পটিয়ায় দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতি ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে নিজে সম্পৃক্ত রয়েছি। আগামী উপজেলা নির্বাচনে দলের নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় মুরব্বিদের সাথে নিয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়ার ব্যাপারে আমি আশাবাদী।

চেয়ারম্যান পদে সম্ভাব্য প্রার্থী দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য এ কে এম আবদুল মতিন চৌধুরী। তিনি বলেন, উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হওয়ার আশা করছি।

দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি আ..ম টিপু সুলতান চৌধুরী দলের নেতৃবৃন্দ ও শুভাকাক্সক্ষীদের মতামতের ভিত্তিতে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হতে চান। দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক মোহাম্মদ ফারুক চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করতে আগ্রহী।

পটিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ..ম শামসুজ্জামান চৌধুরীও চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করতে চান। তিনি বলেন, ছাত্রজীবন থেকেই দলের জন্য নিবেদিত ছিলাম। এখনো বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে রাজনীতির মাঠে রয়েছি। জীবনের এ সময়ে এসে উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করতে আগ্রহী।

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের স্টিয়ারিং কমিটির সাবেক সদস্য দিদারুল আলম দিদার চেয়ারম্যান পদে লড়তে আগ্রহী। ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য ও আওয়ামী লীগের সংস্কৃতি উপকমিটির সাবেক সদস্য এবং চট্টগ্রাম মহানগর বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলার সভাপতি মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন। তিনি বলেন, দলের নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয়দের সহায়তায় উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হব।

পটিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও পটিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিম চেয়ারম্যান চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করতে আগ্রহী। আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক উপকমিটির সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুব ক্রীড়া সম্পাদক এম এ রহিম চেয়ারম্যান পদে লড়তে আগ্রহী। এছাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের আরেক নেতা সপু বড়ুয়াও চেয়ারম্যান পদে লড়তে চান।

এদিকে জাতীয় পার্টি থেকে নির্বাচন করতে চান উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল কবির চৌধুরী টিটু। দলের হাই কমান্ডের নির্দেশ পেলে তিনি চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করার কথা জানান।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচবি উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে কঠোর কর্মসূচিতে যাচ্ছে শিক্ষক সমিতি
পরবর্তী নিবন্ধদেড় ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ পাল্টাপাল্টি হামলা, আহত ৪০