দেশের যেসব উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অনুপস্থিত রয়েছেন, সেসব জায়গায় কার্যক্রম সচল রাখতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) প্রশাসনিক ও আর্থিক ক্ষমতা দিয়েছে সরকার। গতকাল বুধবার স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামানের সই করা অফিস আদেশে ইউএনওদের এ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। খবর বিডিনিউজের।
গত ৫ আগাস্ট শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন। এর পরপরই দেশের বিভিন্ন সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের একটা বড় অংশ আত্মগোপনে চলে যান। কেউ কেউ দেশের বাইরে পালিয়ে গেছেন। স্থানীয় সরকারের অধীন উপজেলা পরিষদের বেশিরভাগ জনপ্রতিনিধি আওয়ামী লীগের বা আওয়ামী লীগ সমর্থিত। এ অবস্থায় স্থানীয় সরকারের কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে। নাগরিকরা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
বুধবারের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, যেহেতু সম্প্রতি উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে বিভিন্ন উপজেলার অনেক চেয়ারম্যান ধারাবাহিকভাবে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। যোগাযোগ করেও তাদের উপস্থিতি নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকারের ভাষ্য– উপজেলা পরিষদের অনেক প্যানেল চেয়ারম্যানও কর্মস্থলে ধারাবাহিকভাবে অনুপস্থিত রয়েছেন এবং তাদের সাথে যোগাযোগ করেও উপস্থিতি নিশ্চিত করা যাচ্ছে না বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা গেছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা পরিষদে অনেক ধরনের কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে এবং জনসেবা বিঘ্নিত হচ্ছে।
অফিস আদেশে বলা হয়েছে, সেহেতু যে সকল সিটি কর্পোরেশনে এ রূপ পরিস্থিতি উদ্ভূত হয়েছে, সে সকল উপজেলা পরিষদে সব ধরনের জনসেবা অব্যাহত রাখা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম চলমান রাখার নিমিত্তে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের পুনরাদেশ না পাওয়া পর্যন্ত সাময়িকভাবে পূর্ণ আর্থিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা অর্পণ করা হলো। ১৪ আগস্ট থেকেই এ সিদ্ধান্ত কার্যকর বলে অফিস আদেশে বলা হয়েছে।
একইভাবে দেশের ১২টি সিটি কর্পোরেশনে মেয়রের অনুপস্থিতিতে দৈনন্দিন কাজ চালিয়ে নিতে প্রধান নির্বাহীদের (সিইও) হাতে ক্ষমতা দিয়ে আদেশ জরি করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।
বুধবার সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ সাংবাদিকদের বলেন, দেশের সব জেলা, উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদের অনুপস্থিত চেয়ারম্যানদের তথ্য চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তথ্য পাওয়ার পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।