চুয়েট ছাত্রলীগের ১৮ নেতাকে হল থেকে বহিষ্কার

৩ জনকে কারণ দর্শানো নোটিশ

রাউজান প্রতিনিধি | শনিবার , ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ at ৯:০৮ পূর্বাহ্ণ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত চুয়েট শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে ছাত্রলীগের ১৮ নেতাকর্মীকে হল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে। পাশাপাশি কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে আরো তিনজনকে। বহিষ্কৃতরা সকলেই চুয়েট ছাত্রলীগের পদধারী নেতা। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গত বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় বিশেষ জরুরি সভা ডেকে এ সিদ্ধান্ত নেন। নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত নেতারা হচ্ছেনতোফাইয়া রাব্বি, মো. ইমাম হোসেন, মো. সাদিকুজ্জামান, ইউসুফ আবদুল্লাহ, মো. তানভীর জনি, ইফতেখার সাজিদ, শাকিল ফরাজী, মোহাম্মদ তৌফিকুর রহমান, সৌমিক জয়, তালহা জুবায়ের, মাহমুদুল হাসান, মো. রিফাত হোসাইন, মইনুল হক, আজহারুল ইসলাম, ইরফানুল করিম, আশিকুল ইসলাম, তাহসিন ইশতিয়াক, আবদুর রহমান। যাদের কারণ দর্শানো নোটিশ পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে তারা হলেন চুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিজয় হোসেন, সহসভাপতি চিন্ময় কুমার দেবনাথ ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. রাকিব উদ্দিন চৌধুরী।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় বিশেষ জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়। এর আগে বৃহস্পতিরার দুপুর থেকে শিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দের বহিষ্কার ও হলে মাদক গ্রহণের অভিযোগে এক শিক্ষকের শাস্তির দাবি করে প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়ে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছিলেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চুয়েটের সমন্বয়ক মাহাফুজার রহমান বলেছেন, শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসন অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সাময়িক ব্যবস্থা নিলেন। তিনি মাদক গ্রহণের জন্য অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধেও দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।

চুয়েট ছাত্রকল্যাণ বিষয়ক উপপরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম জানান, আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি ৩টার মধ্যে হল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা ১৮ শিক্ষার্থীসহ মোট ২১ জনকে তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের জবাব দিতে বলা হয়েছে। তাদের জবাব ও অভিযোগের তথ্যপ্রমাণের আলোকে কর্তৃপক্ষ পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মাহমুদ আবদুল মতিন ভূঁইয়া বলেন, শিক্ষার্থীদের অভিযোগের ভিত্তিতে কয়েকজন ছাত্রের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ হলে শাস্তি আরও বাড়ানো হবে। অভিযুক্ত শিক্ষকের বিষয়ে তিনি বলেন, এ ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন সিন্ডিকেটের কাছে গ্রহণযোগ্য মনে হয়নি। তাই অধিকতর তদন্তের জন্য আরেকটি কমিটি গঠিত হয়েছে। ওই কমিটির প্রতিবেদন পাওয়া গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী ওই শিক্ষকের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআনোয়ারা উপজেলা আ. লীগ নেতাসহ গ্রেপ্তার দুই, ৮ ভরি স্বর্ণ উদ্ধার
পরবর্তী নিবন্ধরাতে গাছ কেটে রাখা হয়, ট্রাক এসে নিয়ে যায় সকালে