ভারতের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী কোভিড ১৯ ভ্যাকসিন ‘কোভিশিল্ড’ এর প্রথম চালান খুব শিগগিরই পাচ্ছে বাংলাদেশ। ভারত গতকাল শুক্রবার বাণিজ্যিকভাবে ভ্যাকসিন রফতানির অনুমোদন দিয়েছে। ভারতের পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব গতকাল সন্ধ্যায় দিল্লীতে বলেন, চুক্তি অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে আগামী সপ্তাহ ও মাস থেকে বন্ধুপ্রতিম বাংলাদেশ, সৌদি আরব, দক্ষিণ আফ্রিকা, মরক্কো ও মিয়ানমারে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন সরবরাহ করবে ভারত। খবর বাসসের।
বিভিন্ন মিডিয়ার প্রশ্নের জবাবে শ্রীবাস্তব বলেন, দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভ্যাকসিন রেখে চুক্তি অনুযায়ি পর্যায়ক্রমে এ সকল দেশে ভ্যাকসিন সরবরাহ করা হবে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জি টু জি, জি টু বি, এবং বি টু বি ভিত্তিতে এই ভ্যাকসিন দেশগুলোতে সরবরাহ করা হবে। পাকিস্তান ভ্যাকসিনের জন্য ভারতের কাছে আনুরোধ করেছে কিনা- জানতে চাইলে সরাসরি জবাব না দিয়ে তিনি বলেন, দেশটি জি টু জি ভিত্তিতে ভ্যাকসিন পেতে ভারতের কাছে কোন আবেদন করেছে কিনা, সেটি তার জানা নেই। তিনি বলেন, প্রতিবেশী দেশগুলোকে করোনা ভ্যাকসিন দিয়ে সহযোগিতার অংশ হিসেবে গতকাল বাংলাদেশকে ২০ লাখ, নেপালকে ১০ লাখ, ভূটানকে দেড় লাখ, মালদ্বীপকে ১ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী মিয়ানমারকে ১৫ লাখ ডোজ দেয়া হচ্ছে। ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা সাংবাদিকদের জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতিশ্রুতি অনুযায়ি তার দেশ শুক্রবার থেকে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে করোনা ভ্যাকসিন সরবরাহ কার্যক্রম শুরু করেছে।