তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট লাই ছিং দ্য তাইওয়ানের স্ব–শাসিত দেশের মর্যাদা অক্ষুণ্ন রাখার অঙ্গীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, তাইওয়ানের প্রতিনিধিত্ব করার কোনও অধিকার চীনের নেই এবং বিশ্বের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় চীনের উচিত তাইপের সঙ্গে মিলে কাজ করা। খবর বিডিনিউজের।
দ্বীপদেশ তাইওয়ানকে নিজেদের বলে চীন যে দাবি করে আসছে– প্রচ্ছন্নভাবে সে প্রসঙ্গ টেনে লাই বলেন, তিনি চীনের সঙ্গে তাইওয়ানের একীকরণ কিংবা তাইওয়ানের স্বার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন হওয়া ঠেকানোর প্রতিশ্রুতি সমুন্নত রাখবেন।
তাইওয়ানের রাজধানী তাইপেতে ন্যাশনাল ডে উদযাপন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে লাই অঙ্গীকার করেন। তাইওয়ানে জানুয়ারির নির্বাচনের মধ্য দিয়ে প্রেসিডেন্ট হিসাবে ক্ষমতায় আসেন লাই। চীন তাকে বিচ্ছিন্নতাবাদী আখ্যা দিয়েছে। গণতান্ত্রিকভাবে শাসিত তাইওয়ানকে চীন নিজেদের ভূখণ্ড বলেই দাবি করে। কিন্তু তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট লাই ও তার সরকার চীনের এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে।
তাইপের প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের বাইরে দাঁড়িয়ে জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে লাই আগের কথারই পুনরাবৃত্তি করে বলেন, দ্য রিপাবলিক অব চায়না (তাইওয়ানের আনুষ্ঠানিক নাম) এবং পিপলস রিপাবলিক অব চায়না (চীন) একে অপরের অধীন নয়। এই ভূমিতে (তাইওয়ান) গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা বাড়ছে এবং তা বিকশিত হচ্ছে।
পিপলস রিপাবলিক অব চায়নার (চীন) তাইওয়ানের প্রতিনিধিত্ব করার কোনও অধিকার নেই। তাইওয়ানের নিজেদের সার্বভৌমত্ব সুরক্ষিত রাখার দৃঢ় প্রত্যয়, তাইওয়ান প্রণালীতে শান্তি রক্ষা করা এবং চীনের সঙ্গে সমান ও মর্যাদাপূর্ণ আলোচনার চেষ্টা চালানো– সবকিছুই অপরিবর্তিত আছে, বলেন লাই।
তবে এরপরও ভাষণে চীনের সঙ্গে সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করার ইচ্ছার কথাও জানিয়ে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, তাইওয়ান প্রণালীর দুই পাশের জনগণের কল্যাণের জন্য শান্তি ও পারস্পরিক সমৃদ্ধির পথে হাঁটা, আঞ্চলিক নিরাপত্তা রক্ষা করা, সংক্রামক রোগ মোকাবেলা করা এবং জলবায়ু পরিবর্তন রোধের বিষয়ে চীনের সঙ্গে আমরা কাজ করতে ইচ্ছুক।