সে আসে, আগুন হাতে নয়, আগুন হয়ে,
চুপচাপ ইতিহাসে নয়,
গর্জে ওঠা প্রতিটি অনুচ্ছেদে
যেখানে চাবুক, সেখানে তার কণ্ঠস্বর।
চোখে বিদ্রোহের জল,
ঠোঁটে গীতবিতানের বিস্ফোরণ।
তাকে দেখে ঘুম ভাঙে শিকলের,
কেঁপে ওঠে ধুলো ধরা দেয়াল।
‘ধর্ম নয়, মানুষ,’ সে উচ্চারণ করে
যেন বজ্রপাত প্রাচীন বেদে।
কোনো রাজসিংহাসনে নয়,
সে ছিল কুড়ানো শব্দের সৈনিক,
গরিবের ভাষায় লিখে ফেলে দিত সিংহলিপি,
শাসকের কপালে জ্বলে উঠত আতঙ্কের রেখা।
তার পদচিহ্নে ধ্বনিত হয় দুই বাংলার রক্ত,
তার কলমে জেগে ওঠে আল কুরআন, গীতা, তানপুরার সুর
সে একই সাথে ফেরাউন ও ফেরেশতার গল্প লেখে,
সে জানে, বিপ্লব কখনো এক ভাষায় বাঁধা থাকে না।
জন্মদিনে তার প্রতিকৃতিতে ফুল নয়,
আমরা রাখি একটি প্রশ্ন–
এতদিন পরে
তুমি কি আবার আগুন হয়ে উঠবে?