আগামী অর্থবছরের বাজেটে মেশিনারিজ ও রিএজেন্টসহ চিকিৎসা উপকরণকে ‘শিল্পপণ্য’ হিসেবে চিহ্নিত করে শুল্কমুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন চট্টগ্রামে স্বাস্থ্যখাতে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান এপিক গ্রুপের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার এস এম লোকমান কবির। ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট ভাবনার বিষয়ে তিনি দৈনিক আজাদীকে বলেন, স্বাস্থ্যখাতে বিনিয়োগের বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বড় বড় ব্যবসায়ী স্বাস্থ্যখাতে বিনিয়োগে এগিয়ে আসছে না। বৃহত্তর চট্টগ্রাম কিংবা সারাদেশে বেশিরভাগ চিকিৎসক সংঘবদ্ধ হয়ে অল্প অল্প পুঁজি দিয়ে বেসরকারিখাতে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। বড় কোন ব্যবসায়ী স্বাস্থ্যখাতে আসেনি। সরকারি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করার পাশাপাশি প্রাইভেট সেক্টরকে আরও বেশি সম্পৃক্ত করার পদক্ষেপ নিতে হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ, জনসংখ্যার অনুপাতে ডাক্তারের সংখ্যা অনেক কম। অনেক মেধাবী চিকিৎসক দেশের বাইরে চলে যাচ্ছেন। ডাক্তারদের পোস্টিংগত সমস্যাও রয়েছে। আবার স্বাস্থ্যখাত এমন লাভজনক খাতও নয় যে এখানে সবাই বিনিয়োগ করবে। কিন্তু প্রাইভেট সেক্টর ছাড়া স্বাস্থ্যখাতের সমৃদ্ধি সম্ভব নয়। ভারতসহ বিশ্বের অনেক দেশে স্বাস্থ্যখাতে প্রাইভেট সেক্টর এগিয়ে গেছে। সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন নিয়মকানুন যদি সহজতর করা হয়, তাহলে লাভ কম হলেও আরও অনেক উদ্যোক্তা স্বাস্থ্যখাতে বিনিয়োগে এগিয়ে আসবে।’
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে এক হাজারের কিছু বেশি মানুষের চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু এখানে গড়ে প্রায় তিন হাজার মানুষ চিকিৎসা নিচ্ছে। সরকারি পর্যায়ে শতভাগ স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা সম্ভবপর নয়। এজন্য প্রাইভেট সেক্টরকে এগিয়ে আনতে হবে। দেশের চিকিৎসা সামগ্রী, বিশেষ করে ইক্যুপমেন্ট, রিএজেন্ট প্রায় সবকিছুর জন্য আমরা বিদেশ নির্ভর। তাই বাজেটে ইক্যুপমেন্ট, রিএজেন্টকে ‘শিল্পপণ্য’ হিসেবে চিহ্নিত করে এগুলোকে শুল্কমুক্ত করা উচিত। এতে চিকিৎসা ব্যয় অনেক কমে আসবে। সাধারণ মানুষের চিকিৎসা সেবা সহজলভ্য হবে।