চাল বরাদ্দ না পাওয়ায় চট্টগ্রামে চলতি মাসের কর্মসূচি শুরু করতে পারেনি ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। সরকার নির্ধারিত ৮ জুলাই থেকে চট্টগ্রামেও চলতি মাসের পণ্য বিক্রি শুরু হওয়ার কথা ছিল।
টিসিবি চট্টগ্রাম অফিস থেকে জানা গেছে, গতকাল পর্যন্ত চট্টগ্রামে চলতি মাসের পণ্য বিক্রি কার্যক্রম শুরু করা যায়নি। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের দপ্তর থেকে চাল বরাদ্দ না পাওয়ায় গতকাল পর্যন্ত এই কর্মসূচি শুরু করা যায়নি। আর চট্টগ্রাম জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের দপ্তর থেকে বলা হয়েছে ডিসি অফিস থেকে বরাদ্দপত্র না পাওয়ায় চাল বরাদ্দ দেয়া হয়নি। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের দপ্তরে বরাদ্দপত্র পাওয়ার সাথে সাথেই চাল বরাদ্দ দেয়া হয় বলে জানানো হয়েছে। টিসিবি মাসের কর্মসূচি মাসে ঠিক মতো শুরু করতে পারে না বলেও অভিযোগ করা হয়েছে।
চাল বরাদ্দে দেরি হওয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক এস এম কায়ছার আলী আজাদীকে বলেন, এখনো বরাদ্দপত্র পাওয়া যায়নি। বরাদ্দপত্র পাওয়ার পর বরাদ্দ দেয়া হবে। দুই–একদিন দেরি হচ্ছে।
এই ব্যাপারে টিসিবির চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম আজাদীকে বলেন, আমরা এখনো ক্যালেন্ডার (ক্যালেন্ডার হচ্ছে–কোন তারিখ কোথায় কোথায় বরাদ্দ দেয়া হবে তার সময়সূচি বা তালিকা; এটা ডিসি অফিস থেকে করা হয়) এবং চাল বরাদ্দ পাইনি। ডিসি অফিস থেকে বরাদ্দের তালিকা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের দপ্তরে গেলে উনারা চাল সরবরাহ করবেন। চাল বরাদ্দ রবিবার থেকে হবে। এবারের বরাদ্দে সর্বোচ্চ ২ লিটার ভোজ্যতেল, ২ কেজি মসুর ডাল ও ৫ কেজি চাল কিনতে পারবেন উপকারভোগীরা। প্রতি লিটার সয়াবিনের দাম পড়বে ১০০ টাকা, প্রতি কেজি মসুর ডালের দাম পড়বে ৬০ টাকা ও প্রতি কেজি চালের দাম পড়বে ৩০ টাকা। এবার মোট প্যাকেজ মূল্য ৪৭০ টাকা।
প্রতিবারের মতো এবারও চট্টগ্রামে ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫০ জন ফ্যামিলি কার্ডধারী ব্যক্তিরা পণ্য কিনতে পারবেন বলে জানায় টিসিবি। এরমধ্যে চট্টগ্রাম মহানগরীতে ৩ লাখ ১ হাজার কার্ডধারী ফ্যামিলি টিসিবির পণ্য পাবেন। ওয়ার্ড ভিত্তিক স্থানীয় কাউন্সিলররা যাদের তালিকা করে কার্ড দিয়েছেন তারাই টিসিবির পণ্য পেয়ে থাকেন।
চট্টগ্রাম জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (কারিগরী) মো. ফখরুল আলম বলেন, ডিসি অফিস থেকে এখানো বরাদ্দপত্র দিতে পারেনি। ডিসি অফিস থেকে বরাদ্দপত্র পাঠালে আমরা বরাদ্দ দিয়ে দেব।
টিসিবি জানায়, সারাদেশে নিম্ন আয়ের এক কোটি উপকারভোগী কার্ডধারী পরিবারের মাঝে সাশ্রয়ীমূল্যে প্রতি মাসে টিসিবির পণ্য (ভোজ্যতেল, মসুর ডাল ও চাল) বিক্রি কার্যক্রম চলমান রয়েছে। সিটি কর্পোরেশন ও জেলা–উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় নির্ধারিত তারিখ ও সময় অনুযায়ী বিক্রি কার্যক্রম পরিচালনা করেন ডিলাররা।