টানা ৪ দিন বন্ধ থাকার পর অবশেষে চন্দ্রঘোনা লিচুবাগানে ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা থেকে গতকাল সোমবার সকাল ৭টা পর্যন্ত বন্ধ ছিল ফেরি চলাচল। ফেরি চলাচল শুরু হওয়ায় সর্বস্তরের জনগণ সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এই ফেরি চলাচলের মধ্য দিয়ে রাঙামাটি জেলা সদরের সাথে রাজস্থলী উপজেলা এবং বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি জেলার সাথে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ শুরু হয়েছে।
চন্দ্রঘোনা লিচুবাগান ফেরির পরিচালক মো. শাহজাহান বলেন, টানা ৪ দিন ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় সমগ্র এলাকায় সার্বিক কর্মকাণ্ড প্রায় থমকে যায়। কেননা এই ফেরির সাথে লিচুবাগান, রাইখালী বাজার, বাঙ্গালহালিয়া বাজার, রাজস্থলী বাজারসহ সব কিছুর সাথে একটা যোগসূত্র ছিল। মানুষ বিভিন্ন প্রয়োজনে কাপ্তাই, রাঙামাটি, রাজস্থলী, বান্দরবান এবং খাগড়াছড়ি জেলায় প্রতিদিন যাতায়াত করতো। ফেরি চলাচল না থাকায় সব কিছু এতদিন থমকে গিয়েছিল।
বান্দরবান–রাঙামাটি যাত্রীবাহী বাস চালক মনির হোসেন বলেন, গত ৪ দিন আমাদের কোনো আয়–রোজগার ছিল না। আমার মতো শতশত ছোটবড় বিভিন্ন যানবাহনের চালকদের প্রায় একই অবস্থা ছিল। তিনি বলেন, গাড়ি চালাতে পারলে আমাদের ইনকাম হয়। আর সেই ইনকাম দিয়ে আমাদের দৈনন্দিন যাবতীয় খরচ চলে। তবে এখন গাড়ি চালাতে পেরে আমরা সবাই খুশি।
এ ব্যাপারে রাঙামাটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সবুজ চাকমা বলেন, আসলে আমরা ফেরি চলাচল বন্ধ করতে চাইনি। কিন্তু কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ কাপ্তাই লেকের পানি ছেড়ে দেবার ফলে ফেরি চালানো বিপজ্জনক হয়ে উঠে। তাই অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনা এড়াতে আমরা ফেরি চলাচল বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছি। তবে গতকাল (সোমবার) লেকের পানি ছাড়ার পরিমাণ কিছুটা কমানোয় এবং সর্বস্তরের জনগণের দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে আমরা ফেরি চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।