উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ২০ ঘণ্টার ব্যবধানে গুলি করে ও গলা কেটে দুই যুবক হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। সর্বশেষ ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল শনিবার বিকেল ৫টার দিকে উখিয়ার ১৯ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সি/৬ ব্লকে। জানা যায়, এই ব্লকের বাসিন্দা ফয়জুল করিমের ছেলে মো. হুজিত উল্লাহ (৩৪) চায়ের দোকানে বসে অন্যদের সঙ্গে বসে গল্প করছিলেন। এসময় কয়েকজন মুখোশধারী তাকে তুলে কিছুদিন নেয়ার পর প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করে।
এর আগের দিন শুক্রবার রাতে ২০ নম্বর ক্যাম্পের এম/২৭ ব্লকের সাবেক মাঝি করিম উল্লাহকে (৩৭) নিজ বসতঘর থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে গলা কেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। দুটো ঘটনাই সশস্ত্র রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোর অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নিহত হুজিত উল্লাহর স্বজনদের বরাতে উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শামীম হোসেন জানান, শনিবার বিকেলে ১৯ নম্বর ক্যাম্পের একটি চায়ের দোকানে স্থানীয়দের সঙ্গে বসে গল্প করছিলেন হুজিত উল্লাহ। এক পর্যায়ে ছয়–সাতজন মুখোশপরা অস্ত্রধারী এসে সেখান থেকে তাকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। কিছুদূর নেওয়ার পর তারা তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও মাথায় গুলি করে হত্যা করে লাশ ফেলে রেখে চলে যায়। পরে থানা পুলিশ ও এপিবিএন পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে।
এর আগে শুক্রবার রাত ৯টার দিকে উখিয়ার ২০ নম্বর ক্যাম্পের ব্লক–এম/২৭ এর সাবেক মাঝি করিম উল্লাহকে নিজ বসতঘর থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ নিয়ে ২০ ঘণ্টা না পেরোতেই দুটি লোমহর্ষক খুনের ঘটনায় ক্যাম্পের বাসিন্দাদের মাঝে ভীতির সঞ্চার হয়েছে।
উখিয়া থানার ওসি জানান, কারা, কী কারণে এসব খুনের ঘটনা ঘটিয়েছে পুলিশ এখনও নিশ্চিত নয়। তবে প্রাথমিকভাবে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারের জেরে খুনের ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা পুলিশের। ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।