চা শিল্পকে বাঁচাতে প্রতি কেজি চায়ের ন্যূনতম নিলাম মূল্য ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা নির্ধারণ করার দাবি জানিয়েছেন বাগান মালিক ও কর্মকর্তারা। গতকাল রোববার দুপুরে সিলেট নগরীর সুবিদবাজারে ম্যানডারিন চায়নিজ রেস্টুরেন্টে এক সংবাদ সম্মেলনে সিলেটের ২৫টি চা বাগানের মালিকদের পক্ষ থেকে এ দাবি জানানো হয়।
ম্যাঙন ব্রাদার্স টি এস্টেটের পরিচালক (অপারেশন) মুফতি মোহাম্মদ হাসান বলেন, অন্যান্য শিল্পের উৎপাদিত পণ্যের তুলনায় চায়ের উৎপাদন মূল্য নিলামে অনেক কম। বাগানের ব্যবহৃত রোগ–বালাই দমনে ওষুধসহ অন্যান্য পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় উৎপাদন খরচ কয়েকগুণ বেড়েছে। কিন্তু তার চেয়েও বেশি মাত্রায় কমেছে চায়ের নিলাম মূল্য। এই নিলাম মূল্য দিয়ে লাভ তো নয়ই; উৎপাদন খরচ বহন করাও কোনোভাবে সম্ভব না। বর্তমানে প্রতি কেজি চায়ের উৎপাদনে খরচ ২০০ থেকে ২২০ টাকা। অথচ নিলাম মূল্য ১৭০ টাকা ১৭৫ টাকা থেকে নেমে ১০০ বা ১১০ টাকায় এসেছে। এমনকি ১০০ টাকার নিচেও নিলামে বিক্রি হচ্ছে। এই দামে চা বিক্রি করে উৎপাদন খরচ উঠানো সম্ভব না। খবর বিডিনিউজের।
এ অবস্থা থেকে চা শিল্পকে বাঁচাতে চায়ের চোরাচালান বন্ধের পাশাপাশি পঞ্চগড় এলাকায় চা উৎপাদনের মান এবং বিধিসম্মতভাবে চা বাজারজাতের ব্যবস্থা, চা বাগানকে বহুমুখী আয়ের উৎস হিসেবে পযর্টনকেন্দ্র স্থাপন, কৃষি ঋণ পরিশোধের হার কমানো ও শর্তাবলী সহজ করা, ছোট বাগানকে পাঁচ বছরের জন্য ট্যাঙ হলিডে দেওয়া, বাগানের জমি দখলমুক্ত করা, ভাল প্যাকেটজাত চা রপ্তানির সুযোগ সৃষ্টি করাসহ আরও কয়েকটি দাবি জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।
চা শিল্পের ওপর কয়েক লাখ শ্রমিক–কর্মচারীর জীবন–জীবিকা নির্ভরশীল জানিয়ে বক্তারা বলেন, এছাড়া পরোক্ষভাবে আরও কয়েক লাখ লোক চা শিল্পের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। অথচ বর্তমানে চা শিল্প কঠিনতম পরিস্থিতিতে নিমজ্জিত; যা এই শিল্পের টিকে থাকার ভিত নাড়িয়ে দিচ্ছে।