বাঁশখালীর চাম্বল ইউনিয়নের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী মুজিবুল হক চৌধুরী নৌকা প্রতীকে ৯ হাজার ২৯২ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. ফজলুল কাদের আনারস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫ হাজার ৭১৬ ভোট। এতে মুজিবুল হক চৌধুরী ৩ হাজার ৫৭৬ ভোটের ব্যবধানে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হন। চেয়ারম্যান পদে অপর দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী এরশাদুর রহমান চৌধুরী মোটর সাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ১৩২ ভোট এবং সাহেদা বেগম নুরী চশমা প্রতীকে পেয়েছেন ৬৬ ভোট। গতকাল বুধবার রাত ৮টার দিকে বাঁশখালী উপজেলা পরিষদের নব নির্মিত হলরুমে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
সাধারণ ওয়ার্ডের বিজয়ীরা : ঘোষিত ফলাফল অনুসারে, সাধারণ ১নং ওয়ার্ডে মো. শহীদ উল্লাহ ফুটবল প্রতীক নিয়ে ১০৭৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। এ ওয়ার্ডে অপর প্রার্থী নুরুল কবির আপেল প্রতীকে পান ৭৫৪ ভোট, মাহমুদুল হক মোরগ প্রতীকে পান ১৯৪ ভোট এবং আজগর হোছাইন তালা প্রতীকে পান ২৪ ভোট। ২নং ওয়ার্ডে মোক্তার আহমদ টিউবওয়েল প্রতীকে ৫৩৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। অপর প্রার্থী মো. জাফর ইকবাল ফুটবল প্রতীকে পান ৪১৮ ভোট, মুরাদুল ইসলাম মোরগ প্রতীকে পান ২৫০ ভোট এবং নুর মোহাম্মদ তালা প্রতীকে পান ৩৫৫ ভোট। ৩নং ওয়ার্ডে ফজল কাদের ফুটবল প্রতীকে ৮২৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। অপর প্রার্থী আবুল বশর চৌধুরী মানিক মোরগ প্রতীকে পান ৩৭১ ভোট, ফেরদৌস আলম হোছাইনী আপেল প্রতীকে পান ৩৪৮ ভোট এবং এস এম আবদুর রশিদ টিউবওয়েল প্রতীকে পান ২২৯ ভোট। ৪নং ওয়ার্ডে আহমদ কবির মোরগ প্রতীকে ১০২১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। অপর প্রার্থী রবিউল আলম ফুটবল প্রতীকে পান ৪০৫ ভোট, মোহাম্মদ ইদ্রিস তালা প্রতীকে পান ৬ ভোট, দেলোয়ার হোছাইন আপেল প্রতীকে পান ১৩ ভোট এবং আবুল কালাম আজাদ টিউবওয়েল প্রতীকে পান ৮৮ ভোট। ৫নং ওয়ার্ডে নুরুল হোছাইন টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে ৪৩০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। অপর প্রার্থী নুরুল আলম আপেল প্রতীকে পান ৩০০ ভোট, বদিউল আলম বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীকে পান ২৩৩ ভোট, মো. কাইছার উদ্দিন মোরগ প্রতীকে পান ১৯৯ ভোট, জাকের আহমদ ঘুড়ি প্রতীকে পান ১০৪ ভোট, আবু হানিফ তালা প্রতীকে পান ৩৪ ভোট এবং আবছার হোসেন ফুটবল প্রতীকে পান ১৩৬ ভোট। ৬নং ওয়ার্ডে জসীম উদ্দিন সিকদার ফুটবল প্রতীক নিয়ে ৩৯১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। অপর প্রার্থী আব্দুল মাবুদ বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীকে পান ৩১৯ ভোট, আশরাফ আলী টিউবওয়েল প্রতীকে পান ২৯৩ ভোট, মোস্তাক আহমদ ঘুড়ি প্রতীকে পান ২৫৩ ভোট, মোহাম্মদ দিদার তালা প্রতীকে পান ৬৮ ভোট, মো. আলী হোসেন মোরগ প্রতীকে পান ২১ ভোট এবং মো. জসিম আপেল প্রতীকে পান ২১৩ ভোট। ৭নং ওয়ার্ডে রহমত উল্লাহ ফুটবল প্রতীক নিয়ে ৬৯২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। অপর প্রার্থী কামরুল হাসান মোরগ প্রতীকে পান ২৭০ ভোট, ছরওয়ার হোছাইন বাবুল বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীকে পান ৪০৪ ভোট, মাহফুজুর রহমান তালা প্রতীকে পান ১৪৪ ভোট, মোবারক আলী আপেল প্রতীকে পান ২২১ ভোট, মো. বাবুল টিউবওয়েল প্রতীকে পান ৫৯ ভোট এবং সন্তোষ কান্তি রুদ্র ঘুড়ি প্রতীকে পান ৭ ভোট। ৮নং ওয়ার্ডে মো. ইয়াছিন চৌধুরী ফুটবল প্রতীক নিয়ে ৪৫২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। অপর প্রার্থী গিয়াস উদ্দিন ঘুড়ি প্রতীকে পান ৩১৮ ভোট, মোহাম্মদ আলী মোরগ প্রতীকে পান ১০২ ভোট, মো. হোছাইন আপেল প্রতীকে পান ২৭১ ভোট এবং রিদুয়ানুল করিম টিউবওয়েল প্রতীকে পান ৯ ভোট। ৯নং ওয়ার্ডে সোহেল ইকবাল চৌধুরী মোরগ প্রতীকে ১৪৪৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। অপর প্রার্থী নাছির আহমদ চৌধুরী ফুটবল প্রতীকে পান ৮৯৬ ভোট।
সংরক্ষিত ওয়ার্ডে যারা বিজয়ী : সংরক্ষিত ১নং ওয়ার্ডে মোছাম্মৎ হীরা মনি সূর্যমুখী প্রতীক নিয়ে ২৮০৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। এ ওয়ার্ডে অপর প্রার্থী ইসমত আরা বেগম তাল গাছ প্রতীকে পান ১৮১৫ ভোট এবং ফারজানা শারমিন বই প্রতীকে পান ৭৬৬ ভোট। সংরক্ষিত ২নং ওয়ার্ডে ফাতেমা বেগম বই প্রতীক নিয়ে ২২৫৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। এ ওয়ার্ডে অপর প্রার্থী জিন্নাতুল রেহেনা বেবী বক প্রতীকে পান ১৪৩৪ ভোট এবং জন্নাতুল ফেরদৌস সূর্যমুখী প্রতীকে পান ৮৩০ ভোট। সংরক্ষিত ৩ নম্বর ওয়ার্ডে সুলতানা নার্গিস হেলিকপ্টার প্রতীক নিয়ে ২৩০৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। এ ওয়ার্ডে অপর প্রার্থী কোহিনুর আকতার বই প্রতীকে পান ১৭৪৪ ভোট এবং মনোয়ারা বেগম মাইক প্রতীকে পান ১২২৪ ভোট।
বুধবার রাতে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হারুন মোল্লা। এ সময় নির্বাচনের দায়িত্বরত কর্মকর্তা রকর চাকমা সাথে ছিলেন। ফলাফল শেষে বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুজ্জামান চৌধুরী, বাঁশখালী থানার ওসি মো. কামাল উদ্দিন বক্তব্য রাখেন। তারা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।









