নগরীর নতুন ব্রিজের (শাহ আমানত সেতু) মাঝখানে একটি মিনিবাস উল্টে মসজিদের একজন খতিবের মৃত্যু হয়েছে। তার নাম মাওলানা সাইফুল্লাহ খালেদ। তিনি বাঁশখালীর গন্ডামারা এলাকার হেমায়েত আলীর বাড়ীর মাহাবুবুল আলমের ছেলে। পটিয়া পৌরসভার বৈলতলী রোডের হাজী আবদুস ছাত্তার জামে মসজিদের সাবেক খতিব তিনি। গতকাল শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় পেছনের চাকা ব্লাস্ট হয়ে মিনিবাসটি উল্টে গেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। যাত্রীসহ বাসটি মইজ্জ্যারটেকের দিক থেকে নতুন ব্রিজ হয়ে নগরীতে প্রবেশ করছিল।
এ ঘটনায় আরো ১১ জন আহত হয়েছেন। তারা হলেন, মির হোসেন রবিন, মিজান, কবির আহমদ, রাশেদুল ইসলাম, বশির আহমেদ, নাসির আহমেদ, সাহেবা, জয়নব বেগম, মোহাম্মদ অভি, আরজু ও লাকী আক্তার। এরা প্রত্যেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
চমেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য নুর উল্লাহ আশেক আজাদীকে বলেন, নতুন ব্রিজে বাস উল্টে যাওয়ার ঘটনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আহত ১১ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের শারীরিক অবস্থা তেমন গুরুতর নয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
লামা বাজার ফায়ার স্টেশনের স্টেশন অফিসার সাইফুল ইসলাম বলেন, মিনি বাস উল্টে যাওয়ার খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে হতাহতদের উদ্ধার করি। চাকা ব্লাস্ট হয়েই মূলত এ ঘটনা ঘটেছে।
বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রহিম আজাদীকে বলেন, মইজ্জ্যারটেকের দিক থেকে দুর্ঘটনার শিকার মিনিবাসটি নতুন ব্রিজ হয়ে নগরীতে প্রবেশ করছিল। ব্রিজের মাঝখানে এসে পৌঁছালে পেছনের চাকা ব্লাস্ট হয় এবং সাথে সাথে উল্টে যায়। এতে এক যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি বাঁশখালীর বাসিন্দা ও পটিয়ার একটি মসজিদের সাবেক খতিব। এছাড়া ঘটনায় আরো বেশ কয়েকজন যাত্রী আহত হয়েছেন। এরমধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে।