ফেব্রুয়ারি মানেই ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিবহ মাস। আমাদের মাতৃভাষা দিবস এখন রূপ নিয়েছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে। দিবসটি এখন শুধু বাংলাদেশে নয়, পালিত হচ্ছে সারা বিশ্বে। কিন্তু আমরা কি আমাদের মায়ের ভাষাকে যথাযথ মর্যাদা দিতে পেরেছি? আমরা কি এখনও বাংলা ভাষার রূপ ও শব্দের বানানে ভিন্নতা দূর করতে? উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় যে, “ফেব্রুয়ারি” শব্দের বানানও সর্বক্ষেত্রে অভিন্ন হয়নি। কিছু কিছু বই-পুস্তক এমনকি কিছু কিছু পত্রিকায়ও ভুল বানান অহরহ চোখে পড়ে। হ্রস্ব-ই-কার ও দীর্ঘ-ই-কার ‘এর প্রয়োগেও দ্বন্দ্বে ভোগেন অনেক শিক্ষিতজন। আমরা জানি, শব্দের সর্বাধুনিক বানান রীতি নির্ধারণ করে বাংলা একাডেমি। কিন্তু বাংলা একাডেমি’র নির্দেশনা কি আমরা যথাযথ বাস্তবায়ন করছি? ভাষা আন্দোলনের মাসে আমাদের প্রত্যাশা থাকবে, সর্বক্ষেত্রে অভিন্ন বানান রীতি চর্চা করা। বাংলা ভাষা নিয়ে প্রতিনিয়ত গবেষণা হচ্ছে। এটা ভালো দিক।এর মাধ্যমে আমরা আগেকার ভুল-ত্রুটি থেকে বের হয়ে ভাষার সর্বাধুনিক রূপ খুঁজে পাবো। বিশ্বের সব বাঙালি যেন প্রমিত বাংলা বানান ও শুদ্ধতম উচ্চারণ চর্চা করে। মায়ের কোলে সব বাঙালি শিশুর মুখে যেন শুদ্ধতম বোল ফুটে ওঠে।