চাঁদ থেকে আনা মাটিতে প্রথম সবুজ প্রাণের সঞ্চার

| রবিবার , ১৫ মে, ২০২২ at ৫:৩০ পূর্বাহ্ণ

অর্ধশত বছর আগে অ্যাপোলো অভিযানের সময়ে চাঁদ থেকে মাটি এনেছিলেন মহাকাশচারীরা। চাঁদের মাটিকে রিগোলিথ-ও বলা হয়। রিগোলিথের কিছু নমুনা সে সময়ে পরীক্ষাগারে ব্যবহার না-করে ভবিষ্যতের জন্য রেখে দেওয়া হয়েছিল। উদ্দেশ্য ছিল, পরে যখন আরও উন্নত হবে বিজ্ঞান, সে সময়ে পরীক্ষা করে দেখা হবে। সামনে যদি ফের চন্দ্রাভিযান হয়, সেক্ষেত্রে পুরনো নমুনা ব্যবহারের এটি আদর্শ সময়। তাই সম্প্রতি ‘তোরঙ্গ’ থেকে বার করা হয়েছিল অ্যাপোলো অভিযানের সময়ে আনা মাটির নমুনা।
গবেষণাগারে সেই মাটিতেই এই প্রথম সবুজ প্রাণের সঞ্চার ঘটালেন বিজ্ঞানীরা। নাসা জানিয়েছে, এই মাটিতে তেমন পুষ্টিগুণ নেই। তারই মধ্যে জন্মেছে অ্যারাবিডোপসিস থালিয়ানা। এদের জীবনীশক্তি খুব বেশি। অল্পেতে মরে না। গাছটিকে আফ্রিকা ও ইউরেশিয়ায় দেখতে পাওয়া যায়। সর্ষের আত্মীয় বলা যেতে পারে এদের। ব্রকোলি, ফুলকপির মতো ক্রুসিফেরাস জাতের গাছ। গবেষণাগারে এই কাজটি করে দেখিয়েছে ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়। সব ঠিক থাকলে হয়তো আগামী কয়েক বছরের মধ্যে চাঁদে মানুষ পাঠাবে নাসা।
এও শোনা গিয়েছে, কোনও মহিলা এবং কোনও কৃষ্ণাঙ্গ নভোচারী চাঁদে পাড়ি দেবেন। তার প্রস্তুতি চলছে পুরোদমে। শেষ যেবার চাঁদে গিয়েছিল মানুষ, ১২ দিন ছিল।
এ বারে দীর্ঘ সফরের পরিকল্পনা। নাসার কর্তা বিল নেলসন বলেছেন, চাঁদ কিংবা মঙ্গলে দীর্ঘ সময়কাল কী ভাবে থাকা যায়, তার ভাবনাচিন্তা চলছে বহুদিন। এ জন্য খাবারের সন্ধান চাই। সেই ব্যবস্থা করা গেলে মহাকাশচারীরা চাঁদে থেকে গবেষণা করতে পারবেন। ল্যাবে চাঁদের মাটিতে গাছের জন্ম, সেই সম্ভাবনার দরজাই খুলে দিল। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে কী ভাবে গাছের ফলন সম্ভব, তা-ও বোঝা গেল। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, চাঁদের মাটিতে কৃষিকাজ সম্ভব। পৃথিবীর মতো অত কিছু হয়তো ফলানো যাবে না। কিন্তু গাছের জন্ম সম্ভব, সে নিয়ে নিশ্চিত তারা।
-আনন্দবাজার

পূর্ববর্তী নিবন্ধসাকিব খেলছেন চট্টগ্রাম টেস্টে
পরবর্তী নিবন্ধবিপ্লব যুগের অবসান, আবার এক মানিকের হাতে ত্রিপুরা