জনাব আলহাজ্ব খোরশেদ আলম সুজন। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) এর প্রশাসক হিসেবে মাত্র ক’দিনের জন্য ওনাকে নগরের দায়িত্ব দিয়েছে সরকার। দায়িত্ব নেওয়ার শুরুর দিন থেকেই ওনার আপোষহীন মনোভাব সকলের কাছে প্রশংসিত হয়েছে। দিন যত যাচ্ছে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন তিনি। আজ এখানে, নয়তো কাল ওখানে। আমি যে ওনার প্রশংসা করছি তা নয়, কিন্তু ওনি যে স্টেপটা নিলেন এটা পরবর্তীতে যারা আসবেন তারাও নিক। তাহলে নগরীর চেহারাও পাল্টে যাবে নি:সন্দেহে। চসিক প্রশাসকের এই উদ্যমটা অনুকরণীয়। এই সময়ে তিনি আর কীইবা করতে পারবেন। ফুটপাতগুলোকে হকারমুক্ত করা, সড়ক সংস্কারসহ যতটুকু পারছেন করে চলেছেন। প্রতিদিনই কোন না কোন কাজে মাঠে ওনার দেখা মিলছে। কোন সময় জীপে চড়ে বা স্কুটারে করে কিংবা পায়ে হেঁটেই গন্তব্যে চলছেন। খোঁজখবর রাখার চেষ্টা করছেন বিভিন্ন সমস্যা সম্পর্কে। তাৎক্ষণিক সমাধানের চেষ্টাও চালাচ্ছেন। স্বল্প সময়ের জন্য প্রশাসনের শীর্ষ পদে থেকে কাজ করে যাচ্ছেন বিরামহীনভাবে। অথচ ওনার সময় খুবই কম। কিন্তু যে পথটা তিনি দেখাচ্ছেন সেটা বিরল। চাইলে শিখতে পারেন অনেকে। মানুষের মানসিকতার উপর অনেক কিছুই নির্ভর করে। যিনি যে ধরনের মানসিকতা পোষণ করেন তিনি সেভাবেই পরিচালিত হন বৈকি! যারা ছোটবড় পদে থাকেন তারা যদি সুন্দর মনমানসিকতা ও সততা নিয়ে এগিয়ে যেতে পারেন তাহলে তার প্রতিষ্ঠান, কর্মস্থল সবজায়গায় এর প্রতিফলন দেখা যাবে। সকলের কাছে তার গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে। বাড়বে সৌন্দর্য-সৌকর্য।
করোনার কারণে সিটি নির্বাচন পিছিয়েছে। শুনছি নভেম্বরেই সিটি নির্বাচনের ঘোষণা আসতে পারে। নির্বাচন পেছানোর কারণে হয়তো জনাব খোরশেদ আলম সুজনকে এই পদে দেখা গেছে। নয়তো ওনার কর্মস্পৃহা এবং মানুষের জন্য কাজ করার মানসিকতা সম্পর্কে মানুষ জানতে পারতো না। জানতো না জনগণের জন্য ভালো কিছু করার ব্যাপারে ওনার সদিচ্ছা। ওনিও মেয়র পদে নিজ দলের মধ্যে একজন যোগ্য প্রার্থী হিসেবে বিবেচিত ছিলেন। কর্মী হিসেবে দলীয় যে কোন সিদ্ধান্ত তো মেনে নিতেই হয়। এটাই নিয়ম।