প্রথমে আমি নবনির্বাচিত মেয়র আলহাজ্ব রেজাউল করিম সাহেবকে অভিনন্দন জানাচ্ছি, সেই সাথে সিটি কর্পোরেশনের সকল কর্মকর্তাগণকে অগ্রিম ঈদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। বিগত মেয়র আলহাজ্ব এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর স্বপ্ন ছিল করপোরেশনের আয় বাড়ানোর জন্য বাড়ি ওয়ালাদের হোল্ডিংটেক্স না বাড়িয়ে যেন চট্টগ্রাম বন্দর এর আয়ের একটা অংশ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে দেওয়া হয় চট্টগ্রাম উন্নয়নের জন্য অবশেষে আমাদের সেই স্বপ্ন পূরণ হলো আমি মনে করি চট্টগ্রামবাসীর এটা একটা বিরাট অর্জন, এ-ই কাজে যারা সহযোগিতা করছেন সবাইকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। মাননীয় মেয়র মহোদয় আমরা সবাই চট্টগ্রামের উন্নয়ন চাই এবং চট্টগ্রামে পরিবেশ বান্ধব যানজটমুক্ত জলবদ্ধামুক্ত ও গ্রিনসিটি হিসাবে দেখতে চাই, আশা করি আপনিও নির্বাচনের সময় যে প্রতিশ্রতি চট্টগ্রামবাসীকে দিয়েছেন, আপনার চট্টগ্রামকে উন্নয়নের জন্য জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, তাই অধমের অভিমত চট্টগ্রামের অনেক বাড়ির মালিক বাড়ীর ছাদে গাছপালা লাগিয়ে চট্টগ্রামকে যেমন গ্রিনসিটি করতে আগ্রহী তেমনি বাড়ির ছাদে বিভিন্ন প্রজাতির ফলগাছ ও ঔষধিগাছ ,যেমন আমড়া, পেয়ারা, কমলা লেবু, ডালিম, আমগাছ, পেঁপে, জলপাই,নিমগাছ ভিন্ন রকম শাকসবজী করতে আগ্রহী, এ-ই বাগান যদি বাড়ীর ছাদের উপর করা যায় চট্টগ্রাম যেমন গ্রিনসিটি হবে, তেমনি দেশের আর্থসামাজিক অর্থনীতি উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখবে বলে আমি মনে করি। মাননীয় মেয়র মহোদয় চট্টগ্রামের ভিন্ন বাড়ি মালিক ছাদে বাগান করার আগ্রহ থাকলেও বাগান করার যেসব উপকরণের দরকার হয় যেমন মাটি, ড্রাম গাছপালা সংগ্রাহ করা, উপকরণে এইগুলোর জোগাড় করার যেমন অভাব রয়েছে, তেমনি কষ্টসাধ্য বটে, তাই সিটি করপোরেশনের উদ্যাগে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বনবিভাগকে সাথে নিয়ে আলাদা একটা টিম গঠন করলে এবংএকটা অনলাইনে একটা অ্যাপস খুলে চটগ্রামবাসীকে যোগাযোগের জন্য নাম্বার ব্যবস্থা করে দিলে, এবং যে ব্যক্তি বাগান করতে আগ্রহী বাগান অনুযায়ী একটা মূল্য নির্ধারণ করে দিলে অনেক বাড়ীর মালিক ছাদের বাগান করতে আগ্রহী হবে বলে আমি মনে করি, সেই সাথে চট্টগ্রম উন্নয়নে ও গ্রিনসিটি করতে যেসব বাড়ীর মালিক আগ্রহী হবেন তাদের বাড়ীর হোল্ডিং টেক্স ১০% কম নেওয়ার জন্য আপনার কাছে আমার একান্ত অনুরোধ রইল, তাহলে হয়ত সবাই উৎসাহিত হবে,আজ আর নয়। জানি না এ-ই অধমের অগোছালো লেখা আপনার দৃষ্টিগোচর হয় কিনা,পরিশেষে আপনার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি,আমার লেখা ভুল হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
মোঃ জাকির হোসেন, সাবেক সহ সভাপতি, নুপুর মার্কেট বণিক সমিতি