চলতি অর্থবছরে দেশের জিডিপি হবে দক্ষিণ এশিয়ার সবার ওপরে

বাজেটে কোনো দুর্বলতা নেই : অর্থমন্ত্রী

আজাদী ডেস্ক | বৃহস্পতিবার , ১০ জুন, ২০২১ at ৬:৫৩ পূর্বাহ্ণ

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জানিয়েছেন, চলতি (২০২০-২১) অর্থবছরে দেশে জিডিপির হার হবে ৬ দশমিক ১ শতাংশেরও বেশি, যা হতে যাচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ায় সবার ওপরে। গতকাল বুধবার দুপুরে অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি অর্থনৈতিক বিষয়ক সংক্রান্ত ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়, বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান। জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ১ হবে বলে বিশ্বব্যাংক যে প্রতিবেদন দিয়েছে সে বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘প্রথমে দেখতে হবে বিশ্বব্যাংক যা বলে এখন পর্যন্ত সেটা ঠিক হয়েছে কি-না। যদি কিছু প্লাস-মাইনাসও হয় তারপরও আমরা সেখানে মিল খুঁজে পাইনি। ২০২১-২২ অর্থবছর সম্পর্কে আমাদের প্রজেকশন আছে সেটি বাস্তবায়ন করতে পারব। এখন চলতি অর্থবছর যেটি আছে আমরা সেখানেও ৬ দশমিক ১ প্রবৃদ্ধির হার বলেছি।’ ‘অর্থবছরের শেষ দিকে মে-জুন মাসে সামষ্টিক অর্থনীতির গতিধারা যেভাবে পজিটিভলি টার্নওভার করেছে, আমরা বিশ্বাস করি ৬ দশমিক ১ এর ওপর আমরা অর্জন করতে পারব। সেই অর্জনটি সাউথ এশিয়ার সবার ওপরে হবে। মাত্র কয়েক দিনের ব্যাপার, আপনারা দেখবেন ঠিক হয় কি-না।’
চীন থেকে সময় মতো ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়টি আজকের মিটিংয়ে আলোচনা হয়নি। সঙ্গত কারণেই আমি মন্তব্য করতে পারি না। এ বিষয়ে জানতে হলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় (স্বাস্থ্য) থেকে তথ্য পেতে পারেন।’ অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, ‘পার্বত্য অঞ্চল বান্দরবান, খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটিতে অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল সংযোগ স্থাপন করতে হবে। আমাদের কানেকটিভিটি বাড়াতে হবে। সেই কাজটি করার জন্যই ক্যাবল স্থাপন করতে হবে। কাজটি করার অনুমোদন আমরা দিয়েছি, তারা কাজটি করতে পারবে। তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি বিভাগ কাজটি করবে।’
এদিকে প্রস্তাবিত ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে কোনো উইকনেস (দুর্বলতা) নেই বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, নিম্ন আয়ের মানুষদের যদি আমরা চিহ্নিত করতে পারি এবং অর্থনীতির মূল ধারায় নিয়ে আসতে পারি তাহলে আগামীতে আমাদের অর্থনীতি আরেও সমৃদ্ধ হবে। বাজেট নিম্নআয়ের মানুষের জন্য সুবিধা রাখা হয়নি বলে বিশ্লেষকরা বলছেন-এবারের বাজেটে দুর্বলতা কী ছিলো এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, বাজেটে কোনো দুর্বলতা নেই। আমি কোন পার্টিকুলার সিগমেন্ট উল্লেখ করতে চাই না। বাজেটটি যখন বাস্তবায়ন শুরু হবে তখন আমরা দেখবো কারা উপকারভোগী। উপকারভোগী কারা আমরা সেটি জানতে পারবো। যাদের নিয়ে আপনাদের প্রশ্ন তাদের কাভার করার জন্যই আমরা এবারের বাজেট সাজিয়েছি। তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি এবং প্রধানমন্ত্রীও আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন সেটা হলো নিম্নআয়ের মানুষদের যদি আমরা আইডেন্টিফাই করতে পারি এবং অর্থনীতির মূল ধারায় নিয়ে আসতে পারি তাহলে আগামীতে আমাদের অর্থনীতি আরও সমৃদ্ধ হবে। এ নীতিতে আমরা বিশ্বাস করি এবং সেভাবে কাজ করে যাচ্ছি।
আড়াই কোটির মতো নতুন দরিদ্র হয়েছে বলে বেসরকারি সংস্থার প্রতিবেদন বিষয়ে জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের নিজস্ব প্রতিষ্ঠান আছে, তারা এগুলো দেখবে। আমাদের প্রতিষ্ঠান থেকে তথ্য পাওয়ার আগে কারো তথ্য গ্রহণ করতে পারি না। অর্থমন্ত্রণালয় নিয়ে নাগরিক প্লাটফর্মের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রথমে আমাকে বলতে হবে কোনো কোনো জায়গায় আপনারা ব্যত্যয় দেখেছেন। পুরো তালিকা আমাকে দিতে হবে। সেগুলো দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআন্দোলনের নামে সহিংসতা করলে সমুচিত জবাব : কাদের
পরবর্তী নিবন্ধশিক্ষা আইন চূড়ান্ত শিগগিরই যাচ্ছে মন্ত্রিপরিষদে : মন্ত্রী