চমেক হাসপাতাল

মধ্য রাতে মহিলা ওয়ার্ডে পুরুষ, এরপর যা হলো

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২ at ৩:৪২ পূর্বাহ্ণ

মহিলা ওয়ার্ডে মধ্যরাতে হাসপাতালের এক পুরুষ কর্মীকে দেখে ভয়ে চিৎকার শুরু করেন এক রোগী। এ সময় ওয়ার্ডে থাকা অন্য রোগী ও স্বজনরাও চিৎকার শুরু করেন। গত সোমবার রাত দুইটার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগে এ ঘটনা ঘটে।
ওয়ার্ড ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, ওই পুরুষ কর্মী কার্ডিয়াক অপারেশন টিমের সদস্য (পারফিউনিস্ট)। অপারেশনের আগের দিন ঢাকা থেকে এসে ওয়ার্ডে রাত যাপন করেন। মহিলা ওয়ার্ডের পার্শ্ববর্তী একটি কক্ষে তারা থাকেন। তাদের মহিলা ওয়ার্ডের টয়লেট ব্যবহার করতে হয়। সোমবার রাতে ওই পুরুষ কর্মী টয়লেটে যাওয়া-আসার পথে এমন ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, ওয়ার্ডে পুরুষ ও মহিলা রোগী রাখার আলাদা ব্যবস্থা রয়েছে। সোমবার মহিলা ব্লকে ৭ জন রোগী ছিলেন। রাত দুইটার দিকে আধো অন্ধকারে এক পুরুষকে ওয়ার্ডের ভেতর দেখা যায়। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন নারী রোগীরা। তারা চিৎকার দেন। পরে ওই পুরুষ কর্মীটি দ্রুত সেখান থেকে চলে যান বলে জানান রোগীর স্বজনেরা।
কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. নাজমুল হোসেন বলেন, বিষয়টি জানার পর রোগী ও স্বজনদের সাথে আমরা কথা বলেছি। তারা ওই স্টাফকে দেখে ভয় পাওয়ার কথা জানিয়েছেন। তবে এর বাইরে আর কিছু ঘটেনি এবং রোগী-স্বজনরাও অন্য কোনো অভিযোগ করেননি। এটা আসলে ভুল বোঝাবুঝি। এরপরও এসব স্টাফের থাকার ব্যবস্থা ওখান (মহিলা ওয়ার্ড) থেকে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে বলেও জানান বিভাগীয় প্রধান।
দীর্ঘ দিন ধরে ঢাকা থেকে এসব পারফিউনিস্ট এনে কার্ডিয়াক অপারেশন চালু রাখা হয়েছে জানিয়ে চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শামীম আহসান বলেন, আমাদের নিজস্ব কোনো পারফিউনিস্ট নেই। তারাই ঢাকা থেকে এসে অপারেশনে সহযোগিতা করেন। প্রায় দশ বছর ধরে ঢাকা থেকে এসে ওই জায়গাতেই তারা থাকেন। কখনো কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। আসলে ওই মহিলা রোগী ভয় পেয়েছিলেন। তবে এর বাইরে আর কোনো অভিযোগ তারা করেননি। এরপরও বিষয়টি যেহেতু স্পর্শকাতর, আমরা ওই স্টাফদের পুরুষ ওয়ার্ডে থাকার ব্যবস্থা করতে বলেছি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসীতাকুণ্ডে হত্যা মামলার প্রধান আসামি আটক
পরবর্তী নিবন্ধবিনা টিকেটে ট্রেনে ভ্রমণের মূল্য পরিশোধ ষাটোর্ধ্ব এমদাদুলের