চমেক হাসপাতালের নির্ধারিত প্রকল্প চট্টগ্রামেই থাকবে

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর আশ্বাস

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ১১ অক্টোবর, ২০২২ at ৫:২৬ পূর্বাহ্ণ

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে নিউরোসায়েন্স অর্থোপেডিক, মানসিক ও স্কিন ইউনিট স্থাপন প্রকল্প চট্টগ্রামেই থাকবে। এ নিয়ে চট্টগ্রামবাসীকে আশাহত কিংবা চিন্তা করার দরকার নেই ।
গতকাল সোমবার বিকেলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পরিদর্শন শেষে কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় মন্ত্রী এ আশ্বাস দেন।
চমেক হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ডিজিতো আর প্রকল্প নিয়ে যেতে পারেন না। উনি (ডিজি) যদি নিয়ে যেতে পারতেন তাহলে মন্ত্রীর কাজ কী? এ প্রকল্পটির এখনোর ডিপিপির কাজ চলছে। দেশের ৮টি বিভাগীয় মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একটি হবে চট্টগ্রামে। যেটা কুমিল্লা হওয়ার প্রয়োজন আছে সেটা কুমিল্লায় হবে। যেটা চট্টগ্রামে হওয়ার প্রয়োজন আছে সেটা চট্টগ্রামে হবে। ওটাও বাংলাদেশ এটাও বাংলাদেশ।এটাও আমাদের দেশের অংশ। ওটাও দেশের অংশ। কাজেই এটা নিয়ে কোনো কষ্ট পাওয়ার সুযোগ নাই। এটা নিয়ে চিন্তার কোনো কারণ নেই।
চট্টগ্রামে জমি অধিগ্রহণে ঝামেলা হয় উল্লেখ করে মন্ত্রী আরও বলেন, যখন আমরা চট্টগ্রামের কোনো জমি নিতে চাই তখন অনেক ভেজাল হয়। অনেক দেরি হয়। বার্ন নিয়েই আমরা দেখেছি কতবার আমাদের আসতে হয়েছে। একটি জায়গার জন্য বহুবার চিঠি চালাচালি করতে হয়েছে। কত নাকানিচুবানি খেতে হয়েছে তা আমরা জানি। একবারতো এ প্রকল্প ফেরত চলে গেছে। তবুও অনেক বুঝিয়ে চীনকে রাজি করাতে হয়েছে।
এর আগে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দিতে গিয়ে বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন (বিএমএ) চট্টগ্রাম শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. ফয়সল ইকবাল চৌধুরী গত রোববার দৈনিক আজাদীতে প্রকাশিত চমেক হাসপাতালের নির্ধারিত প্রকল্প কুমিল্লা করার প্রস্তাবনা শীর্ষক প্রতিবেদনটির ব্যাপারে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, চট্টগ্রামের জায়গা সংকটের কথা বলা হচ্ছে, বিষয়টি সঠিক নয়। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অনেক জায়গা রয়েছে। তাই এই প্রকল্প চট্টগ্রামের রাখার দাবি জানাচ্ছি। পরবর্তীতে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী বিএমএ নেতা ডা. ফয়সল ইকবাল চৌধুরীর সেই দাবির সাথে একমত পোষণ করে চট্টগ্রাম থেকে কুমিল্লায় প্রকল্প স্থানান্তর না করার দাবি জানান।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম, চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান এবং চমেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. সাহেনা আক্তার উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গতকাল স্বাস্থ্যমন্ত্রী চমেক হাসপাতালের ডায়াগনস্টিক ইমেজিং ভবন, নিউরো সার্জারি ওয়ার্ড, মাল্টিপারপাস ভবন, আর্থ ব্যবস্থাপনা ও স্টোর ইনভেন্টরি ম্যানেজমেন্ট অটোমেশন ব্যবস্থা, সিমুলেশন ল্যাব, ডক্টরস লাউঞ্জ সম্প্রসারণ ও মুক্তির স্থপতির স্মারক উদ্বোধন করেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ৫-১১ বছরের শিশুদের করোনা টিকা আজ থেকে
পরবর্তী নিবন্ধবাবুলের সঙ্গে ১ ঘণ্টার একান্ত আলাপ আইনজীবীদের