চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ইংরেজি বিভাগের মাস্টার্সের ফলাফলকে কেন্দ্র করে মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর নাসির উদ্দিন অশোভন এবং হুমকিমূলক আচরণ করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন চবি ইংরেজি বিভাগের সভাপতি মাহ–এ নূর কুদসী ইসলাম।
এ নিয়ে তিনি গত রোববার চবি উপাচার্য বরাবর একটি অভিযোগপত্র দিয়েছেন। এতে তিনি বলেন, ইংরেজি বিভাগের এমএ পরীক্ষা–২০২১ এর ফলাফল বিপর্যয়ের প্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীগণ তাদের খাতা পুনর্মূল্যায়নের দাবিতে আন্দোলন করে ও দাপ্তরিকভাবে আবেদন পেশ করে। এর প্রেক্ষিতে তৎকালীন ডিন, কলা ও মানববিদ্যা অনুষদ, ডিন ব্যবসায় অনুষদ তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কার্যনির্বাহী এবং পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকসহ ২টি আলোচনা সভা হয়। সেই সভাগুলোতে পরীক্ষা কমিটির সভাপতি সহকারী অধ্যাপক যাকীয়াহ্ তাসনীম উপস্থিত ছিলেন না। সকলের সম্মতিক্রমে শিক্ষার্থীদের দাবিটি মেনে নেয়া হয় এবং একটি এমএ পরীক্ষা–২০২১ পুনর্মূল্যয়ন কমিটি গঠন করা হয়। এরপর সভার সিদ্ধান্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কাছে জমা দিতে গেলে দেখি, সেখানে যাকীয়াহ্ তাসনীম ও তার স্বামী প্রফেসর নাসির উদ্দিন উপস্থিত। আমাকে দেখা মাত্রই তিনি অত্যন্ত ক্ষীপ্রতার সাথে মারমুখী হয়ে আমাকে বলতে থাকেন। আমাকে উনি ছেড়ে দিবেন না, দেখে ছাড়বেন এমন কি আমাকে জেলের ভাত খাইয়ে ছাড়বেন। উনাদের উভয়কে আমি অত্যন্ত নম্রতা ও বিনয়ের সাথে বুঝাবার চেষ্টা করেছি যে, এমন কোন সিদ্ধান্ত সভায় বিভাগের পক্ষ থেকে নেয়া হয় নাই যাতে যাকীয়াহ্ তাসনীম কর্তৃক প্রকাশিত ফলাফল অশুদ্ধ বা প্রশ্নবিদ্ধ হয়। শুধুমাত্র শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে খাতা পুনর্মূল্যায়নের সিদ্ধান্ত হয়েছে। কিন্তু উভয়েই কোন কথা শুনতে নারাজ।
অভিযোগ অস্বীকার করে প্রফেসর নাসির উদ্দিন বলেন, এই অভিযোগটি সত্য নয়। ইংরেজি বিভাগের সভাপতির সাথে আমার পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে। এই ধরনের আচরণ করার প্রশ্নই আসে না। এই ব্যাপারে বিস্তারিত মন্তব্য করার আগে আমাকে আগে উনার সাথে কথা বলতে হবে।