চবি শাটল ট্রেনের বগিতে নদীর নামে ফলক স্থাপন

চবি প্রতিনিধি | সোমবার , ১০ নভেম্বর, ২০২৫ at ৫:৩৫ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেনে দীর্ঘদিন ধরে চলমান বগি শনাক্তকরণের বিভ্রান্তি দূর করতে এবং শিক্ষার্থীদের যাতায়াত ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা আনতে নতুন উদ্যোগ নিয়েছে শিক্ষার্থীবান্ধব সংগঠন ‘ভয়েস অব স্টুডেন্টস’। সংগঠনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেনের প্রতিটি বগির নাম দেশের প্রসিদ্ধ নদীগুলোর নামে নির্ধারণ করেছে। গত শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে এ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে শাটলের প্রতিটি বগিতে নামফলক ও নির্দেশনা বোর্ড স্থাপন করা হয়। এর ফলে শিক্ষার্থীরা দূর থেকেই নিজেদের বগি সহজে শনাক্ত করতে পারবেন।

ভয়েস অব স্টুডেন্টস’এর পক্ষ থেকে জানানো হয়, আগে শাটলের কোন বগি কোন পাশে থাকে তা নিয়ে শিক্ষার্থীরা বিভ্রান্তিতে পড়তেন। পিক আওয়ারে ভিড় ও বিশৃঙ্খলার কারণে যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়তেন। এখন প্রতিটি বগির নাম নদীর নামে নির্ধারণ করায় এই বিভ্রান্তি দূর হবে। তারা আরও বলেন, এই নামকরণ শুধু যাতায়াতকে স্মার্ট ও সংগঠিত করবে না, বরং শিক্ষার্থীদের আবেগকে দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও নদীনির্ভর সংস্কৃতির সাথেও যুক্ত করবে। শিক্ষার্থীরা এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। কলা অনুষদের শিক্ষার্থী সাদিয়া রহমান বলেন, ‘প্রতিদিন শাটলে যাতায়াত করি। আগে কোন বগি কোথায় থামবে বুঝে উঠতে সময় লাগত। এখন নদীর নামে নাম থাকায় সহজেই চেনা যাবে।’

সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ ইমরান বলেন, ‘এটা খুবই সুন্দর উদ্যোগ। স্থায়ীভাবে কার্যকর থাকলে শাটলে ভোগান্তি কমবে, শৃঙ্খলা বাড়বে।’

তাসনিমা হক নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘প্রতিটি বগিতে নদীর নাম থাকায় এখন থেকে সহপাঠীদের বলতেও সুবিধা হবে, ‘আমরা পদ্মা বগিতে উঠব’ বা ‘মেঘনা বগিতে দেখা করো’। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল সংস্কৃতি আরও প্রাণবন্ত হবে।’

সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী রিদওয়ানুল কবির বলেন, ‘এই উদ্যোগ শুধু সুবিধার নয়, এটি শাটলের ঐতিহ্যকে নতুনভাবে তুলে ধরেছে। চাই প্রশাসনও এ উদ্যোগকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করুক।’

ভয়েজ অফ স্টুডেন্টের প্রতিনিধি আশিকুর রহমান বলেন, ‘শাটল শুধু পরিবহন নয়, এটি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃতির অংশ। আমরা বিশ্বাস করি এই নামকরণ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যাতায়াত ব্যবস্থাকে আরও সুগঠিত ও সুশৃঙ্খল করবে। শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি লাঘবে আমাদের এই কাজ করা। আশা করি শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবে।’

পূর্ববর্তী নিবন্ধখাগড়াছড়ি কারাগারের দেয়াল টপকে পালাল দুই হাজতি
পরবর্তী নিবন্ধএস আলমসহ ৬৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা