চবির ৮৪ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ২৪ জানুয়ারি, ২০২৫ at ৮:৪৭ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা এবং চবি ক্যাম্পাসে কর্মরত এক সাংবাদিককে মারধরের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের বিভিন্ন বর্ষের ৮৪ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেছে কর্তৃপক্ষ। গত সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব রেসিডেন্স, হেলথ অ্যান্ড ডিসিপ্লিন কমিটির এক সভায় বহিষ্কারের এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় জানা গেছে। তবে বিষয়টি গতকাল বৃহস্পতিবার চবির উপউপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মো. কামাল উদ্দিন এক বক্তব্যে জানিয়েছেন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত প্রশাসনকে কোনো নোটিশ দেওয়ার বিষয়ে জানা যায়নি। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বহিষ্কৃতরা নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তবে বহিষ্কৃতদের নাম পরিচয় এখনো জানা যায়নি। এ ব্যাপারে সুস্পষ্ট কোনো তথ্য জানায়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো শিক্ষার্থী বহিষ্কারের চিঠি ইস্যু হয়নি বলেও জানিয়েছেন চবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।

গতকাল বৃহস্পতিবার চবিতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের স্মরণে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বহিষ্কারের বিষয়টি উল্লেখ করেন চবির উপউপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মো. কামাল উদ্দিন। পরবর্তীতে বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করে তিনি গণমাধ্যমকে জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলায় জড়িত থাকার জন্য ৭৩ জন আর এক সাংবাদিককে মারধরের ঘটনায় ১১ জনসহ মোট ৮৪ জনকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে যাদের বিষয়ে প্রমাণ পাওয়া গেছে তাদেরকে বহিষ্কার করা হয়েছে। পরবর্তীতে প্রমাণ সাপেক্ষে আরও বহিষ্কার করা হবে। বহিষ্কারের বিষয়টি আজ (শুক্রবার) বিস্তারিত তুলে ধরবেন বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব রেসিডেন্স হেলথ অ্যান্ড ডিসিপ্লিন কমিটির সদস্য সচিব ও চবির প্রক্টর প্রফেসর ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ।

উল্লেখ্য, গত বছরের ১৪ জুলাই রাতে এবং ১৫ জুলাই দুপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের ওপর নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হামলার অভিযোগ রয়েছে। একইদিন ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহসমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফিকে শাটল ট্রেন থেকে তুলে নিয়ে মারধরের ঘটনা ঘটে। পাশাপাশি আন্দোলনে থাকা শিক্ষার্থীদের মুঠোফোন তল্লাশি চালিয়ে মারধরের অভিযোগও উঠেছিল। ১৯ জুলাই ক্যাম্পাসে কর্মরত দৈনিক পূর্বদেশএর সাংবাদিক শাহ রিয়াজকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর এবং ৩১ জুলাই চবির এক শিক্ষকের বাসায় বোমা হামলার অভিযোগ উঠেছিল ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। এছাড়া ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের নানাভাবে হুমকিধমকি, মারধর, হেনস্তার অভিযোগ রয়েছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিশ্বের শীর্ষ বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে আসার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
পরবর্তী নিবন্ধজেলা প্রশাসকের সামনে আধুনগর ইউপি চেয়ারম্যানকে নিয়ে হট্টগোল