৫৫ বছর পেরিয়ে ৫৬ বছরে পদার্পণ করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি)। এ উপলক্ষে আগামীকাল বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে রয়েছে আনন্দ শোভাযাত্রা, প্রবন্ধ উপস্থাপন, আলোচনা সভা, স্মৃতিচারণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। গতকাল বুধবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় চবি প্রশাসন। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় শহীদ মিনার থেকে আনন্দ র্যালি বের হয়ে বঙ্গবন্ধু চত্ত্বরে এসে শেষ হবে। এরপর বঙ্গবন্ধু স্মরণে সেখানে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে ক্যাম্পাসের জারুল তলায় অনুষ্ঠিত হবে আলোচনা সভা। দুপুরের বিরতির পর স্মৃতিচারণ ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শেষ হবে দিনব্যাপী আয়োজন।
প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়ার উপস্থাপনায় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার, উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. বেনু কুমার দে, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এস এম মনিরুল হাসান, চবি এলামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান ও চবি আইসিটি সেলের পরিচালক ড. মোহাম্মদ খাইরুল ইসলাম।
এসময় উপাচার্য লিখিত বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্য তুলে ধরে বলেন, দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। দেশের সর্ববৃহৎ এ বিশ্ববিদ্যালয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে ১৯৬৬ সালের ১৮ নভেম্বর। ৪টি বিভাগ, ৭ জন শিক্ষক ও ২শ শিক্ষার্থী নিয়ে শুরু হওয়া এ বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে আছে ৯টি অনুষদ, ৪৮টি বিভাগ ও ৬টি ইনস্টিটিউট। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ৯শ শিক্ষক ও ২৮ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছেন। উপাচার্য বলেন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধসহ দেশের বিভিন্ন আন্দোলনে সক্রিয় ও গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা রেখেছে চবির ছাত্র, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ জন শিক্ষক, ১২ জন শিক্ষার্থীসহ ৩ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী শহিদ হন। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের জন্য আমাদের এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল দপ্তরের কর্মচারী মোহাম্মদ হোসেনকে বীরপ্রতীক খেতাব দেওয়া হয়।