চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ২০২২–২৩ সেশনে তিন শতাধিক আসন ফাঁকা রয়েছে। এ অবস্থায় ফাঁকা আসনে পরবর্তী (৭ম) মেধাতালিকা প্রকাশের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা। এর আগে কয়েক দফা প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়ে আসছে অপেক্ষমাণ শিক্ষার্থীরা। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনারে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন ভর্তি অপেক্ষমাণ শিক্ষার্থীরা।
মানববন্ধনে ডি ইউনিটে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা বলেন, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে উচ্চ এবং গুণগত শিক্ষার অন্যতম ক্ষেত্র পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। কঠোর পরিশ্রম করে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার যোগ্যতা অর্জন করলেও ৭ম মেধাতালিকা প্রকাশ না করায় উচ্চ শিক্ষা অর্জনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। এমতাবস্থায় আমাদের জীবন নানারকম বিপর্যয়ের মধ্যে যাচ্ছে। উপাচার্য মহোদয়ের নিকট বিনীত নিবেদন থাকবে পরবর্তী মেধাতালিকা প্রকাশ করে আমাদের সুন্দর ভবিষ্যত তৈরি করার সুযোগ দিন। আমরা স্মারকলিপি নিয়ে সচিবের কাছে গেলে উনি আমাদেরকে উপাচার্যের রুমে পাঠান। তবে উপাচার্যের পার্সোনাল সেক্রেটারি স্মারকলিপি নিবে বলেন। এভাবে আমরা হয়রানির শিকার হয়েছি।
এ ইউনিট থেকে উত্তীর্ণ এক শিক্ষার্থী বলেন, অপেক্ষমাণ তালিকার কয়েকজন পরেই আমার পজিশন। এ ইউনিটে ১০৫টা সিট খালি থাকায় আমি নিশ্চিত ছিলাম ৭ম মেরিটে সাবজেক্ট আসবে। কিন্তু মেধা তালিকা দেওয়ার সম্ভাবনা না থাকায় আমি অনেক দুশ্চিন্তায় রয়েছি। আর কয়েক জায়গায় চান্স হওয়ার পরও ভর্তি হইনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ব বলে। দয়া করে ৭ম মেধাতালিকা দেওয়ার অনুরোধ করছি।
উল্লেখ্য, ২০২২–২৩ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ষষ্ঠ মেধাতালিকা প্রকাশিত হয় গত ২৩ সেপ্টেম্বর। পরে চূড়ান্ত ভর্তি ও মাইগ্রেশনের তালিকা দেওয়া হয় ৩০ সেপ্টেম্বর। চূড়ান্ত এই তালিকা থেকে দেখা যায় ৮ ইউনিট ও উপ–ইউনিটে মোট ৩০০ এর বেশি আসন আসন খালি রয়েছে। তবে দুই মাস হতে চললেও ৭ম মেধাতালিকা প্রকাশ করা হচ্ছে না। এ নিয়ে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।