চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ২০২২–২৩ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ‘এ’ ইউনিটের ফলাফল প্রকাশের আগেই ছেলের ফল জানিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ–পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ সোহরাওয়ার্দী। ঘটনা জানাজানি ৫ম পৃষ্ঠার ৪র্থ কলাম
হলে ওই কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় কর্তৃপক্ষ। এবার তাকে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তর থেকে সরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (চাকসু) কোষাধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এছাড়া এ ঘটনায় ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
গতকাল সোমবার এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কে এম নুর আহমদ বলেন, ওই কর্মকর্তাকে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তর থেকে চাকসুর কোষাধ্যক্ষ হিসেবে বদলি করা হয়েছে। এছাড়া এ ঘটনায় ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে। তিনি বলেন, ওই কর্মকর্তা কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব দিয়েছেন। তবে কি জবাব দিয়েছেন সেটি জানাতে অপারগতা প্রকাশ করে তদন্তে সাপেক্ষে জানা যাবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রফেসর ও সিন্ডিকেট সদস্য ড. আবুল মনছুরকে আহ্বায়ক, আলাওল হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. ফরিদুল আলমকে সদস্য ও সহকারী প্রক্টর ড. মোরশেদুল আলমকে সদস্য সচিব করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে প্রফেসর ড. আবুল মনছুর বলেন, আমরা প্রথমে সোহরাওয়ার্দী সাহেবের সাথে এবং পরে ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট ডিন অফিসের সাথে আমরা কথা বলব। এরপর আমরা একটি সিদ্ধান্তে যাব। আমাদের চেষ্টা থাকবে যত দ্রুত প্রতিবেদন জমা দেয়া যায়।
এর আগে, গত ২১ মে চবির ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের আগেই নিজের ছেলের ফলাফল জানিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেন চবি কর্মকর্তা মোহাম্মদ সোহরাওয়ার্দী। গণমাধ্যমে জানাজানি হলে আলোচনা–সমালোচনার ঝড় ওঠে। পরে ওই কর্মকর্তাকে তিন কর্মদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।