বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের অন্তর্ভুক্ত রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয় অন্য বিভাগকে অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা। গতকাল রোববার দুপুর একটার দিকে ড. মুহাম্মদ ইউনুস ভবন প্রাঙ্গণে এ বিক্ষোভ সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা।
এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘স্বতন্ত্র রাষ্ট্রবিজ্ঞান, রক্ষা করো রক্ষা করো,’ ‘পিএসসির প্রহসন, মানি না মানবো না’, ‘পিএসসির স্বজনপ্রীতি, মানি না মানবো না’, ‘শিক্ষা ক্যাডার শিক্ষা ক্যাডার, রক্ষা করো রক্ষা করো’ ‘আমার সোনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাই নাই’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকে। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের কয়েকটি বিভাগের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে পিএসসি বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের অধীনে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ের সঙ্গে তাদের বিভাগকে মার্জ করার সুপারিশ করেছে। শিক্ষার্থীদের দাবি, এই প্রস্তাব রাষ্ট্রবিজ্ঞানের স্বাতন্ত্র, মর্যাদা ও পেশাগত পরিসরে সরাসরি হস্তক্ষেপ। আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত মৌলিক পাঠ্য হিসেবে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের রয়েছে শতবর্ষের ঐতিহ্য, সুসংহত পাঠক্রম, নিজস্ব গবেষণা ক্ষেত্র এবং প্রজন্মের পর প্রজন্মে গড়ে ওঠা অ্যাকাডেমিক কাঠামো। অন্য বিভাগের সঙ্গে মার্জ হলে এই মর্যাদা ক্ষুণ্ন হবে এবং শিক্ষা ক্যাডারে যোগ্যতা ও প্রতিযোগিতার পরিবেশ নষ্ট হবে। রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮–১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আব্দুল আউয়াল বলেন, আমরা জুলাই অভ্যুত্থান থেকে গড়ে ওঠা মানুষ আমরা কোনো প্রকার অন্যায় মেনে নেব না। রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগ একটি স্বতন্ত্র ডিসিপ্লিন এই বিভাগের সাথে অন্য বিভাগকে সমন্বয় করে আমাদের স্বতন্ত্রতাকে নষ্ট করবেন না। রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের স্বতন্ত্রতা রক্ষার জন্য আমরা শেষ অব্দি কঠোর থেকে কঠোর আন্দোলন চালিয়ে যাবো।
একই বিভাগের ২০২২–২৩ শিক্ষাবর্ষের রবিউল হাসান শাফি বলেন, পিএসসি বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারে রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের বরাদ্দকৃত সিটগুলো লোক প্রশাসন ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সাথে ভাগাভাগি করে দেয়ার যে সিদ্ধান্ত দিয়েছে তার তীব্র প্রতিবাদ জানাই। রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগসহ অন্যান্য বিভাগের স্বাতন্ত্র নষ্ট করে দেওয়ার এই পদক্ষেপ গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা অন্য বিভাগের শিক্ষা ক্যাডারের বিপক্ষে নই, বরং চাই প্রত্যেক বিভাগ তাদের নিজস্ব স্বতন্ত্র শিক্ষা ক্যাডার পাক।