চবিতে শিক্ষক সমিতির কর্মবিরতি পালন

একাংশের প্রত্যাখ্যান

চবি প্রতিনিধি | মঙ্গলবার , ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ at ৬:৫৭ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার ও উপউপাচার্য প্রফেসর বেনু কুমার দের পদত্যাগ দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির ঘোষিত কর্মবিরতির ডাকে সাড়া দিয়ে ক্লাস করাননি বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ। গতকাল সোমবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এই কর্মবিরতি পালন করেন তারা। তবে পরীক্ষা কর্মবিরতির আওতামুক্ত ছিল।

এর আগে গত রবিবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মবিরতির ঘোষণা করেছিলেন চবি শিক্ষক সমিতি। আজ মঙ্গলবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা এবং আগামীকাল বুধবার ও বৃহস্পতিবার ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত কর্মবিরতি পালন করা হবে।

তবে শিক্ষক সমিতির কর্মবিরতি কর্মসূচি প্রত্যাখ্যান করেছে বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ হলুদ দল। হলুদ দল তিনটি ভাগে বিভক্ত রয়েছে বর্তমানে। এটি প্রশাসনপন্থী হলুদ দল। গতকাল সোমবার এই দলের আহ্বায়ক প্রফেসর ড. আবদুল্লাহ মামুন সাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, গত ৪ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির একাংশের সংবাদ সম্মেলন থেকে শিক্ষকদের কর্মবিরতি সম্পর্কিত যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে আমরা তা দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করছি। শিক্ষক সমিতির কোনো সাধারণ সভা আহ্বান না করে, এমনকি সমিতির কার্যনির্বাহী পর্ষদের মতামত ছাড়া, একাংশ উদ্যোগে কর্মবিরতির মতো হঠকারী সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সামপ্রতিক সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের শাসনএবং ভাবমূর্তি রক্ষার নামে শিক্ষক সমিতির একাংশ যে ধরণের কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছে, তা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশকে মারাত্মকভাবে ব্যাহত ও ক্ষতিগ্রস্ত করছে। আমরা মনে করি, শিক্ষকদের মূল কাজ হচ্ছে শিক্ষার্থীদের নিয়মিত পাঠদান এবং শাস্ত্রীয় গবেষণা করা; সেই সাথে নির্দিষ্ট সময়ে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাসমাপনে সক্রিয় ভূমিকা রাখা। এক্ষেত্রে কর্মবিরতির মত সিদ্ধান্ত শিক্ষার্থীদের দারুণভাবে হতাশ করবে এবং তাদের শিক্ষা কার্যক্রমকে চরমভাবে ব্যাহত করবে।

এদিকে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর আবদুল হক বলেন, বিভিন্ন বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের সম্মানিত শিক্ষকগণ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী সোমবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ঘোষিত কর্মবিরতি কর্মসূচিতে সাড়া দিয়ে প্রায় ৯০% শিক্ষক এ সময়ের মধ্যে কোন ক্লাস নেননি। আমাদের জানা মতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ বিভাগ ও ইনস্টিটিউটে কর্মবিরতি চলাকালীন কোনো ক্লাস অনুষ্ঠিত হয়নি। তবে প্রশাসনের বিভিন্ন পদে দায়িত্বরত এবং প্রশাসন থেকে নানান ধরনের সুবিধাভোগী কিছু শিক্ষক (১০%-১৫%) কর্মসূচি চলাকালে ক্লাস নিয়েছেন।

এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, আজ (সোমবার) আমাদের ক্লাস হওয়ার কথা ছিল ছয়টি। কিন্তু প্রথম দুটি ক্লাস হওয়ার পর আমরা বাকি চারটি ক্লাসের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। কোনো শিক্ষকের সাড়া না পেয়ে আমরা বাসায় ফিরে এসেছি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসংকটের মাঝেও থেমে নেই গ্যাস চুরি
পরবর্তী নিবন্ধসীমান্তরক্ষীদের ফিরিয়ে নেবে মিয়ানমার : পররাষ্ট্রমন্ত্রী