দুইদিনের মধ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) উপাচার্য নিয়োগ দেওয়ার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আল্টিমেটাম দিয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে দ্রুত উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচিতে এই দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক রাসেল আহমেদ বলেন, আমরা স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার পতনের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের পা-চাটা ভিসিকে পদত্যাগে বাধ্য করেছি। এরপর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা-কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। ফলে শিক্ষার্থীরা সেশনজটে পড়তে যাচ্ছে। তাই আমরা এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান, দ্রুত সময়ের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি নিয়োগ দিন। তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা এমন একজন ভিসি চাই, যিনি শিক্ষাবান্ধব, শিক্ষার্থীবান্ধব এবং গবেষক হবেন। আমরা এমন একজন ভিসি চাই যিনি শিক্ষার্থীদের খোঁজ-খবর নিবেন, সুখ-দুখের সঙ্গী হবেন এবং আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্বমানে গড়ে তুলবেন। আমরা দুইদিনের আল্টিমেটাম দিলাম। এ সময়ের মধ্যে ভিসি নিয়োগ না দিলে আমরা কঠোর অবস্থানে যাব।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহ-সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি বলেন, ভিসি না থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। হলের আসন বরাদ্দও হচ্ছে না। এজন্য আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে উপাচার্য নিয়োগের দাবি জানাচ্ছি। আমরা দুইদিনের আল্টিমেটাম দিয়েছি। এরমধ্যে উপাচার্য নিয়োগ না হলে আমরা কঠোর আন্দোলনে যাব।
এর আগে গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে গত ১২ আগস্ট চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবু তাহের পদত্যাগ করেন। ফলে একমাস ধরে উপাচার্য ছাড়াই চলছে দেশের অন্যতম স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়টি।