চন্দনাইশ প্রতিবন্ধী উন্নয়ন সংস্থার সদস্যদের মধ্যে বিরোধ থাকা সত্ত্বেও কার্যালয়ের দরজা ভেঙে মালামাল নিয়ে যাওয়ার চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে সাবেক সাধারণ সম্পাদক সেলিনা আকতারের বিরুদ্ধে।
খবর পেয়ে সাবেক সভাপতি মনজুর আলমসহ অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত হয়ে বাধা প্রদান করলে মালামাল নিয়ে যাওয়া হলো না তার।
এদিকে চন্দনাইশ থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। আজ বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
সংগঠনের সাবেক সহ-সভাপতি মো. মনজুর আলম জানান, সম্প্রতি চন্দনাইশ পৌরসভা কর্তৃপক্ষ তাদের পুরাতন ভবন ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্তের কারণে গত ১৪ মার্চের মধ্যে কার্যালয় ছেড়ে দিতে নোটিশ প্রদান করেন কিন্তু সদস্যদের সাথে কোনো ধরনের আলোচনা না করে সংস্থার সাবেক সাধারণ সম্পাদক সেলিনা আকতার আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে হঠাৎ করে কার্যালয়ের দরজা ভেঙে প্রতিবন্ধীদের সাইকেল, টাক্সন মেশিন, স্ট্যান্ড, ব্যাথার থেরাপি মেশিন, রোগীর বেড সহ প্রতিটি জিনিসপত্র তার নিজ বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছিলেন।
তিনি বলেন, “খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বাধা প্রদান করি এবং পুলিশকে খবর দিই। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সমাজসেবা কর্মকর্তার নির্দেশ মোতাবেক সরঞ্জামগুলো পুনরায় পুরাতন কার্যালয়ে আমাদের জিম্মায় রাখার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।”
তিনি আরো জানান, ইতিমধ্যে উপজেলা সদরে একটি কার্যালয় ভাড়া নেয়া হলেও সেলিনা আকতারের বিরোধিতার কারণে জিনিসপত্রগুলো সেখানে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে সেলিনা আকতার সাংবাদিকদের বলেন, “চন্দনাইশ পৌরসভার মেয়র ১৪ মার্চের মধ্যে মালামাল সরিয়ে নেয়ার জন্য নোটিশ দেয়ায় আজ জিনিসপত্রগুলো বাগিচাহাটস্থ অপর একটি ভাড়া অফিসে নিয়ে যাচ্ছিলাম।” মালামাল সরিয়ে নেয়ার ব্যাপারে কমিটির সিদ্ধান্ত আছে বলেও জানান তিনি।
পরবর্তীতে পুলিশের হস্তক্ষেপে সমাজসেবা কর্মকর্তার সিদ্ধান্ত মোতাবেক সংস্থার জিনিসপত্রগুলো তালিকাভুক্ত করে মঞ্জুর আলম ও সোহেলের জিম্মায় রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত বছরের ডিসেম্বর মাসে চন্দনাইশ প্রতিবন্ধী উন্নয়ন সংস্থার কমিটির মেয়াদ শেষ হলেও নানা জটিলতায় নতুন করে আর কমিটি গঠন করা সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে চন্দনাইশ থানার এসআই মাজহারুল ইসলাম বলেন, “প্রতিবন্ধী উন্নয়ন সংস্থার কার্যালয় পাল্টানো নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয় এবং বাকবিতণ্ডা হয়। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে আসি এবং সমাজসেবা কর্মকর্তার সিদ্ধান্ত মোতাবেক সংস্থার মালামালগুলো তালিকাভুক্ত করে সংস্থার সাবেক সহ-সভাপতি, সহ-সাধারণ সম্পাদকের জিম্মায় রাখা হয়।”
এ ব্যাপারে সমাজসেবা কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) রিজুয়ান উদ্দিন জানান, ঘটনাটি তিনি পুলিশের মাধ্যমে জানতে পেরেছেন। সংস্থা নিয়ে সদস্যদের মধ্যে সৃষ্ট জটিলতা মীমাংসার লক্ষ্যে খুব শীঘ্রই উভয়পক্ষকে নিয়ে আলোচনা করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।