চন্দনাইশে ২টি মামলার পলাতক আসামি মো. সুমন (৩২) কে কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে ডিবি পুলিশের সহায়তায় শনিবার (১ জুন) গভীর রাত ২টার দিকে চন্দনাইশ থানা পুলিশ টেকনাফের কুতুপালং এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে।
সে সদ্য সমাপ্ত চন্দনাইশ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের আগেরদিন চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু আহমদ চৌধুরীর সমর্থকদের উপর হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার আসামি হিসেবে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল।
চন্দনাইশ থানায় দায়েরকৃত এজাহার সূত্রে জানা যায়, সদ্য সমাপ্ত চন্দনাইশ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের আগে ২ দিন আগে ২৭ মে সন্ধ্যায় মো. সুমনসহ বেশ কয়েকজন ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী আবু আহমদ চৌধুরীর সমর্থক খানহাট এলাকার কাঠ ব্যবসায়ী আবদুর রহিম ও তার বড় ভাই আবদুল আলীমের উপর হামলা চালায়।
এ সময় কিরিছের কুপে আবদুল আলীমের মাথা মারাত্মক রক্তাক্ত যখম হয়। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
পরে আহত আবদুল আলীমকে উদ্ধার করে প্রথমে বিজিসি ট্রাস্ট মেডিকেল কলেজে নিয়ে গেলে তার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
এ ঘটনায় আবদুর রহিম বাদি হয়ে মো. সুমনকে ১নং আসামি করে ২৬ জনের নাম দিয়ে এবং অজ্ঞাতনামা ৬০-৭০ জনকে আসামি করে চন্দনাইশ থানা একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলা দায়েরের পর থেকে সুমন আত্মগোপনে চলে যায়। গ্রেফতার সুমন মোটর সাইকেল প্রতীকের প্রার্থী জসিম উদ্দীন আহমদের সমর্থক ছিল।
চন্দনাইশ থানার ওসি (তদন্ত) যুযুৎসু যশ চাকমা জানান, গত ২৭ মে হামলার পর থেকে সুমন নামের ওই আসামি পালিয়ে যায়। ঘটনার পর থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালিয়ে আসছিল।
গত শনিবার ডিবি পুলিশের সহযোগিতায় তাকে টেকনাফ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সুমন বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরবর্তী এক যুবলীগ নেতাকে ছুরিকাঘাতে আহত করার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার আসামী। দুইটি মামলার আসামী হিসেবেই তাকে গতকাল আদালতে প্রেরণ করা হয় বলে জানান তিনি।