রাসেলস ভাইপার আতঙ্কে মানুষ এখন যে কোনো সাপ দেখলেই পিটিয়ে মারছে। আজ রোববার সকাল ১১টার দিকে চন্দনাইশের পাহাড়ি অঞ্চল ধোপাছড়ি ইউনিয়নের চিরিংঘাটা এলাকায় রাসেলস ভাইপার সন্দেহে পিটিয়ে মারা হল অন্য প্রজাতির ৪টি সাপ।
জানা যায়, রবিবার সকাল ১১টার দিকে ইউনিয়নের চিরিংঘাটা এলাকায় লোকালয়ে ২টি সাপ দেখতে পায় স্থানীয়রা। স্থানীয়রা রাসেলস ভাইপার মনে করে আতঙ্কিত হয়ে লাঠি দিয়ে আঘাত করে মেরে ফেলে সাপ ২টি।
পাশাপাশি একই প্রজাতির আরো ২টি সাপ দেখতে পেয়ে সে ২টিও পিটিয়ে মেরে ফেলে। এ সময় ওই প্রজাতির মা সাপটি তার আরো বেশ কয়েকটি সাপের বাচ্চা নিয়ে পালিয়ে যায়। মেরে ফেলা সাপ ২টি দাগি ঢোঁডা জাতীয় সাপ বলে জানান বনবিভাগের দোহাজারী রেঞ্জের রেঞ্জার মো. রেজাউল করিম।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আশরাফ ভুইয়া জানান, সকাল ১১টার দিকে এলাকার লোকজন লোকালয়ে ২টি সাপ দেখতে পেয়ে আতংকিত হয়ে পড়ে। পরে রাসেলস ভাইপার সন্দেহে লাঠি দিয়ে আঘাত করে মেরে ফেলে।
এ সময় একই প্রজাতির আরো ২টি সাপও মারা হয়। তিনি জানান, মূলত একটি মা সাপ তার বাচ্চাদের নিয়ে পাহাড়ি অঞ্চলে ঘুরে বেড়ানোর সময় স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে রাসেলস ভাইপার সন্দেহে মেরে ফেলেছে। এসময় মা সাপটি তার আরো কয়েকটি বাচ্চা নিয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
বনবিভাগ দোহাজারী রেঞ্জের রেঞ্জার মো. রেজাউল করিম জানান, রাসেলস ভাইপার সন্দেহে যে সাপগুলো মারা হয়েছে আসলে সাপগুলোর নাম বাফ ডোরাকাটা কিলব্যাক (দাগি ঢোঁডা)। এগুলো বিষহীন কলুব্রিড সাপের প্রজাতি। এশিয়া জুড়ে সাপগুলো পাওয়া যায়।
এটি জলের সাপ এবং ঘাসের সাপের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত। তিনি বলেন, সাপ দেখলেই যে মেরে ফেলতে হবে এরকম না। এধরনের সাপগুলো আমাদের সম্পদ। এগুলো রক্ষা করতে হবে। আমরা ইতিমধ্যে প্রচারণা শুরু করেছি। তিনি বলেন, যে কোন ধরনের সাপে কাটলে দ্রুত হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নিতে হবে।