টানা বর্ষণে প্লাবিত হয়েছে চন্দনাইশের ২টি পৌরসভা ও ৮টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল। এতে গত সপ্তাহে চন্দনাইশ পৌরসভা, গাছবাড়িয়া, খানহাট, হাশিমপুর, জোয়ারা, কাঞ্চনাবাদসহ বিভিন্ন স্থানে বন্যা দেখা দেয়। ফলে চন্দনাইশের বিস্তীর্ণ আমন ধান ও আউশ ধান এবং বিপুল পরিমাণ সবজি ক্ষেত পানির নিচে ডুবে রয়েছে। এতে কৃষকরা ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়বে বলে আশংকা করা হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ পর্যন্ত নিম্নাঞ্চলের ২২শ হেক্টর আমন ধান, ৪শ হেক্টর আউশ ধান ও প্রায় সাড়ে ৩শ হেক্টর বিভিন্ন রকমের সবজি ক্ষেত পানির নিচে তলিয়ে রয়েছে। এতে কৃষকরা কি পরিমাণ ক্ষতির মুখে পড়বে পানি নেমে গেলে জানা যাবে। শঙ্খচরের কৃষক মোহাম্মদ মারুফ জানান, ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হওয়ার এক সপ্তাহ আগে প্রায় ১ কানি জমিতে করা মুলা ক্ষেত পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে। এতে তার প্রায় ২৫ হাজার টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে।
এছাড়াও টানা বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলের কারণে গত সপ্তাহের বন্যায় চন্দনাইশ পৌরসভাসহ বিভিন্ন নিম্নাঞ্চলের প্রায় ৫০টি পুকুর ও মৎস্য প্রজেক্ট ডুবে সম্পূর্ণ মাছ ভেসে গেছে। এতে মৎস্য খামারিরাও প্রচুর লোকসানের শিকার হয়েছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকতা মো. আজাদ হোসেন জানান, সামপ্রতিক ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের কারণে চন্দনাইশে কৃষিখাতে কি পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। তবে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করে দেখা গেছে এ পর্যন্ত ২২শ হেক্টরের মতো আমন ধান, ৪শ হেক্টর আউশ ধান ও প্রায় সাড়ে ৩শ হেক্টর বিভিন্ন সবজি ক্ষেত পানির নিচে ডুবে আছে। পানি নেমে গেলে সবজি ক্ষেতে ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে।
উপজেলা মৎস্য কর্মকতা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) স্বপন চন্দ্র দে জানান, গত সপ্তাহের বন্যা ও ভারী বর্ষণে চন্দনাইশ পৌরসভা ও আশেপাশের এলাকায় বন্যা দেখা দেয়। এছাড়া উপজেলার অন্যান্য ইউনিয়নেও ভারী বর্ষণ হয়। এতে পুরো উপজেলায় প্রায় অর্ধশত পুকুর ও মৎস্য প্রজেক্টের মাছ ভেসে গেছে। এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৫০ লাখ টাকা হবে বলে জানান তিনি।
এছাড়াও কি পরিমাণ গ্রামীণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পানি নেমে গেলে জানা যাবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা প্রকৌশলী মুহাম্মাদ জুনাইদ আবছার চৌধুরী।