জায়গার বিরোধকে কেন্দ্র করে চন্দনাইশে নাশকতার আগুনে পুড়লো মুদি দোকানের গোডাউন, দোকান ও বসতঘর। এতে প্রায় ৩ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ক্ষতিগ্রস্থরা। গত রাত আড়াইটার উপজেলার বরকল ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড কানাইমাদারী নিদাগরপাড়ায় একদল মুখোশ পরিহিত নাশকতাকারী নাইট গার্ডদের বেঁধে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্থরা।
রাতে দায়িত্বরত নাইটগার্ড মোঃ আবু মনজুর জানান, রাত ২টার দিকে ১৫ জনের একদল মুখোশ পরিহিত নাশকতাকারী মোটর সাইকেলযোগে এসে প্রথমে নাইট গার্ড মনজুর ও মোঃ নাছিরকে পার্শ্ববর্তী একটি গাছের সাথে বেঁধে ফেলে। এসময় নাশকতাকারীরা গান পাউডার ছিটিয়ে মুদি দোকানসহ বিশাল গোডাউনে আগুন ধরিয়ে দেয়।
মুহুর্তেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে এবং পুরো মুদি দোকান, দোকানের পেছনে বিশাল গোডাউন, তার সাথে লাগোয়া একটি বসতঘর এবং পার্শ্ববর্তী আরেকটি ফার্নিচারের দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্থরা হলো মেসার্স মায়ের দোয়া এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী মোঃ আলমগীর ইসলাম (মুদি দোকান ও গোডাউন), ফার্নিচার দোকানের স্বত্ত্বাধিকারী আবদুল করিম বাবুল এবং মফজল আহমদের বসতঘর। তিনি পুড়ে যাওয়া গোডাউনের জমিদার। এদিকে আগুনের সময় মালামাল সরাতে গিয়ে পার্শ্ববর্তী ছৈয়দ আহমদের মুদি দোকানও ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
খবর পেয়ে চন্দনাইশ দমকল বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পানি নিক্ষেপ করে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে। চন্দনাইশ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ওয়ার হাউজ ইন্সপেক্টর মোঃ কামরুল হাছান জানান, রাতে খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে পানি নিক্ষেপ করে আগুন নিয়ন্ত্রণ করা হয়। তবে কি কারণে আগুন লেগেছে এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কে তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে।
পুড়ে যাওয়া মুদি দোকান ও গোডাউনের ম্যানেজার এম ফয়েজ উদ্দীন জানান, মাত্র ১৫ দিন আগে মফজল আহমদ থেকে ৫ বছরের চুক্তিতে মুদি দোকান করার জন্য ভাড়া নেন ব্যবসায়ী মোঃ আলমগীর ইসলাম। ইতিমধ্যে তারা ওই দোকান ও গোডাউনে প্রায় ৩ কোটি টাকার মুদি মালামাল স্টক করেন। কিন্তু জায়গার বিরোধকে কেন্দ্র করে একটি পক্ষ গত রাতে গোডাউনে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে পুরো গোডাউন ও মুদি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায় এবং সবকিছু হারিয়ে সর্বশান্ত হয়ে পড়েছেন আলমগীর ইসলাম।