চতুর্থ জো-তেও যে কারণে ডিম ছাড়েনি মা মাছ

হালদা

হাটহাজারী প্রতিনিধি | রবিবার , ২১ মে, ২০২৩ at ৫:৪৫ পূর্বাহ্ণ

প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র হালদা নদীতে চলছে কার্পজাতীয় মাছের ভরা প্রজনন মৌসুম। কিন্তু এখনও মা মাছ ডিম না ছাড়ায় দুশ্চিন্তায় রয়েছেন ডিম সংগ্রহকারীরা।

গতকাল শনিবার হালদা নদীর মদুনাঘাট, রামদাশমুন্সির ঘাট, মাছুয়াঘোনা, নয়াহাট, কান্দরআলী চোধুরী হাট ও সাত্তারঘাট প্রভৃতি এলাকায় পানির নমুনা সংগ্রহ করেন হালদা গবেষক ড. মো. শফিকুল ইসলাম। নদীর পরিবেশ পরীক্ষা করে তিনি গণমাধ্যমকে জানান, স্বাদুপানিতে লবণাক্ততার স্বাভাবিক মাত্রা হচ্ছে ০.৫ পিপিটি বা তার কম। পূর্ণ জোয়ারের সময় হালদা নদীতে গড়ে ০.৫ পিপিটি লবণাক্ততার উপস্থিতি রেকর্ড করা হয়েছে, যা আদর্শ মানের। পাশাপাশি পানির পিএইচ এর গড় মান ৭., যার আদর্শ মান ৬.৫ থেকে ৮.৫। তবে পানির তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে বলে জানান এ গবেষক।

তিনি জানান, হালদায় গতকালের পানির গড় তাপমাত্রা ছিল ৩১.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের তুলনায় প্রায় ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। বৃষ্টিপাত না হওয়ায় বায়ুমন্ডলের তাপমাত্রা বাড়ায় পানির তাপমাত্রা ও লবণাক্ততা বেড়েছে। বর্তমানে চতুর্থ তিথি/জো অর্থাৎ অমাবস্যার জো চললেও বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢল নেমে না আসায় হালদায় মা মাছের ডিম ছাড়ার অনুকূল পরিবেশ নেই। অনুকূল পরিবেশ না পেলে এই জোতে মা মাছ ডিম ছাড়ার সম্ভাবনা নেই। সেক্ষেত্রে পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢল নামলে হালদার জলজ বাস্তুতন্ত্রে ডিম ছাড়ার অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হবে এবং আগামী মাসের অর্থাৎ জুনের প্রথম সপ্তাহে (১ থেকে ৬ জুন) পূর্ণিমার জো অথবা সর্বশেষ অমাবস্যার জোতে (১৫ থেকে ২০ জুন) পুরোদমে ডিম ছাড়বে কার্পজাতীয় মা মাছ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ৭২ কিমি ডাবল লাইনের কাজ শেষ হচ্ছে জুলাইয়ে
পরবর্তী নিবন্ধকাল থেকে ভূমি সেবা সপ্তাহ শুরু