চট্টগ্রাম বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ ড. জ্ঞানশ্রী মহাথের বলেছেন, শতাব্দী প্রাচীন চট্টগ্রাম বৌদ্ধ বিহার সম্প্রদায়ের প্রাচীনতম উপাসনালয়। দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় বৌদ্ধ ধর্মের জাগরণ ঘটেছে, তাই যে কোন মূল্যে এই বিহারকে আন্তর্জাতিক মানে গড়ে তুলতে পারলে বহির্বিশ্বে দেশের সুনাম উজ্জ্বল হবে। এ জন্য তিনি দেশের জনগণ ও সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন।
গত ১৭ নভেম্বর বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতি কর্তৃক পরিচালিত চট্টগ্রাম বৌদ্ধ বিহারের কঠিন চীবর দানোৎসবের শেষ দিনে তিনি উপরোক্ত মন্তব্য করেন। এতে সভাপতিত্ব করেন সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভার উপসংঘরাজ শাসনপ্রিয় মহাথের। তিনি বলেন, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নির্মাণে বাধাগ্রস্ত করলে ধর্মের পরিহানি ঘটে।
কঠিন চীবর দানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত সচিব দীলিপ কুমার বণিক। তিনি বলেন, মহামানব গৌতম বুদ্ধের বাণী ছিল সর্বজনীন শান্তি ও কল্যাণের জন্য। প্রধান ধর্মদেশক ছিলেন রাঙামাটি রাজবন বিহারের আবাসিক ভিক্ষু মেত্তাবংশ থের। অনুষ্ঠানে সদ্ধর্মের সমাজ সংস্কৃতিতে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ দুইজন বৌদ্ধ কৃতি ব্যক্তিত্বকে স্বর্ণপদক প্রদান করা হয়। তাঁরা হলেন শাসনরত্ন ধর্মসেন মহাথের ও প্রয়াত কিরিটী বিকাশ বড়ুয়া (মরনেণাত্তর)। কঠিন চীবর দানের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতির চেয়ারম্যান অজিত রঞ্জন বড়ুয়া। স্বাগত ভাষণ দেন চট্টগ্রাম বৌদ্ধ বিহারের আবাসিক প্রধান এম. বোধিমিত্র মহাথের। পঞ্চশীল প্রার্থনা করেন শচী ভূষণ বড়ুয়া বাবুল। বক্তব্য রাখেন সুকুমার বড়ুয়া, রিটন কুমার বড়ুয়া, দেবজিৎ বড়ুসংঘদানে সভাপতিত্ব করেন উপসংঘরাজ প্রিয়দর্শী মহাথের। উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বৌদ্ধ বিহারের আবাসিক প্রধান এম বোধিমিত্র মহাথের। স্বাগত বক্তব্য রাখেন অরুণ কুমার বড়ুয়া দেবু। প্রধান অতিথি ছিলেন বিনয়পাল মহাথের। প্রধান ধর্মালোচক ছিলেন পরমানন্দ মহাথের। বিশেষ অতিথি ছিলেন শাসনানন্দ মহাথের, বোধিপাল মহাথের, দেবমিত্র মহাথের, বোধিরতন মহাথের, এইচ শীলজোতি থের, এম প্রজ্ঞামিত্র থের, মেত্তানন্দ থের, জ্ঞানবোধি থের। দিনব্যাপী অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সপু বড়ুয়া ও ববি বড়ুয়া। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।