বাংলাদেশের ক্যাম্পাস আয়তনে দিক থেকে দেশের সর্ববৃহৎ বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের নান্দনিক সৌন্দর্য নজর কেড়েছে সবার। বর্তমানে ৫৫ বছরে পা রেখেছে শাটল ট্রেনের এ ক্যাম্পাস। অত্যন্ত দুঃখ ও পরিতাপের বিষয় এখনো একটি ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) নির্মাণ করা হয়নি। বাংলাদেশের স্বায়ত্তশাসিত চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া বাদ বাকি তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়েই টিএসসি রয়েছে। অথচ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫৫ বছরেও টিএসসি আলোর মুখ দেখেনি। মূলত শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে জ্ঞান ও সুকুমারবৃত্তি চর্চার প্রয়োজনে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হয়। তাছাড়া অবসর সময় কাটানো ও সাংস্কৃতিক বিনোদনের জন্যও টিএসসি প্রয়োজন। বর্তমানে টিএসসি না থাকায় ছাত্র-ছাত্রীরা ক্যাম্পাসের শহীদ মিনার, ঝুপড়ি, বুদ্ধিজীবী চত্বর ইত্যাদি জায়গায় অবসর সময় কাটায়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশ কিছু সাংস্কৃতিক সংগঠন রয়েছে। বিভিন্ন দিবস উপলক্ষে এসব সংগঠনগুলো মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে। কিন্ত টিএসসি না থাকায় সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের আয়োজন করতে হয় জারুলতলা, বুদ্ধিজীবী চত্বর কিংবা শহীদ মিনারে। উন্মুক্ত স্থানে অনুষ্ঠান আয়োজন করতে গিয়ে সংগঠনগুলো সবর্দাই আর্থিক সংকটে পড়ে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বেশ অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। মুক্তবুদ্ধি চর্চার পথকে আরও শাণিত করার জন্য একটি টিএসসি নির্মাণ করা এখন সময়ের দাবি। বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনগুলো একটি টিএসসি নির্মাণের জন্য দীর্ঘদিন যাবত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানিয়ে আসছে। আশা করি, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একটি টিএসসি নির্মাণের জন্য কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
মোঃ আশরাফুল ইসলাম, শিক্ষার্থী, রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগ,
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।