চট্টগ্রাম বিভাগে সাক্ষরতার হার ৭৬ দশমিক ৫৩ শতাংশ

আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস আজ

আজাদী ডেস্ক | বৃহস্পতিবার , ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২ at ৪:৩৮ পূর্বাহ্ণ

আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস আজ। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশেও বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে জাতীয় পর্যায়ের পাশাপাশি জেলা পর্যায়েও দিবসটি উদযাপন করা হবে। এবছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘সাক্ষরতা শিখন ক্ষেত্রের প্রসার’। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

এছাড়াও দিবসের তাৎপর্য ও গুরুত্ব তুলে ধরে এদিন ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হবে। বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে আলোচনা এবং মোবাইল ফোনে খুদে বার্তা প্রেরণ করা হবে।

১৯৬৫ সালের ১৭ নভেম্বর ইউনেস্কো ৮ সেপ্টেম্বরকে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। ব্যক্তি, গোষ্ঠী ও সমাজের মধ্যে শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা ও তাৎপর্য তুলে ধরার লক্ষ্যে এ দিবসটি নির্ধারণ করা হয়। ১৯৬৬ সালে বিশ্বে প্রথম আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস পালন করা হয়। প্রতিবছর এ দিবসটি উদযাপনের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিভিন্ন দেশের সাক্ষরতা এবং বয়স্ক শিক্ষার অবস্থা তুলে ধরা হয়। স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭২ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদ্যোগে প্রথম সাক্ষরতা দিবস উদযাপিত হয়।

(বিআইসিসি) পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের আওতায় বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মাধ্যমে বাস্তবায়িত প্রথম ডিজিটাল জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ এর প্রাথমিক প্রতিবেদনে দেখা যায়, দেশের জনসংখ্যা অনুপাতে মোট সাক্ষরতার হার ৭৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ। যার মধ্যে ঢাকা বিভাগ সর্বোচ্চ ৭৮ দশমিক ৯ শতাংশ হার নিয়ে এগিয়ে। অন্যদিকে সর্বনিম্ন সাক্ষরতার হার ময়মনসিংহ বিভাগে ৬৭ দশমিক ৯ শতাংশ। প্রতিবেদনে সাক্ষরতার হারের হিসাবে বলা হয়, দেশের নারীপুরুষ মিলে মোট সাক্ষরতার হার ৭৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ। যার মধ্যে অঞ্চলভেদে গ্রামাঞ্চলে ৭১ দশমিক ৫৬ শতাংশ এবং শহর এলাকায় ৮১ দশমিক ২৮ শতাংশ। অন্যদিকে নারীপুরুষ লিঙ্গভিত্তিক বিবেচনায় পুরুষের সাক্ষরতার হার ৭৬ দশমিক ৫৬ শতাংশ, নারী শিক্ষার হার ৭২ দশমিক ৮২ শতাংশ এবং তৃতীয় লিঙ্গের সাক্ষরতার হার ৫৩ দশমিক ৬৫ শতাংশ। ২০১১ সালে নারীপুরুষ মিলে সাক্ষরতার হার ছিল ৫১ দশমিক ৭৭ শতাংশ। বিভাগ বিবেচনায় বলা হয়, ঢাকা বিভাগে মোট সাক্ষরতার হার ৭৮ দশমিক ৯ শতাংশ। এর মধ্যে পুরুষ ৮০ দশমিক ৮ শতাংশ, নারী ৭৬ দশমিক ২ শতাংশ এবং হিজড়া ৫৬ দশমিক ৯ শতাংশ। চট্টগ্রাম বিভাগে মোট সাক্ষরতার হার ৭৬ দশমিক ৫৩ শতাংশ। এর মধ্যে পুরুষ ৭৭ দশমিক ৭৪ শতাংশ, নারী ৭৫ দশমিক ৪৩ শতাংশ, তৃতীয় লিঙ্গ ৫০ দশমিক ৮৪ শতাংশ।

বরিশাল বিভাগে মোট সাক্ষরতার হার ৭৭ দশমিক ৫৭ শতাংশ। এর মধ্যে পুরুষ ৭৭ দশমিক ৭৪ শতাংশ ও নারী ৭৬ দশমিক ৭১ শতাংশ এবং তৃতীয় লিঙ্গের ৬৫ দশমিক ৩০ শতাংশ। খুলনা বিভাগে সাক্ষরতার হার ৭৫ দশমিক ২ শতাংশ। পুরুষ ৭৭ দশমিক ১৬ শতাংশ, নারী ৭২ দশমিক ৯৫ শতাংশ এবং তৃতীয় লিঙ্গ ৫৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ। ময়মনসিংহ বিভাগে সাক্ষরতার হার ৬৭ দশমিক ৯ শতাংশ। পুরুষ ৬৮ দশমিক ৭৭ শতাংশ, নারী ৬৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ এবং তৃতীয় লিঙ্গ ৪৪ দশমিক ৩৬ শতাংশ। রাজশাহী বিভাগে সাক্ষরতার হার ৭১ দশমিক ৯১ শতাংশ। এর মধ্যে পুরুষ ৭৩ দশমিক ৯০ শতাংশ, নারী ৬৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ এবং তৃতীয় লিঙ্গ ৫৪ দশমিক ২৩ শতাংশ। রংপুর বিভাগে সাক্ষরতার হার ৭০ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এর মধ্যে পুরুষ ৭৩ দশমিক ৮৮ শতাংশ, নারী ৬৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ এবং তৃতীয় লিঙ্গ ৫৪ দশমিক ২৩ শতাংশ। সিলেট বিভাগে সাক্ষরতার হার ৭১ দশমিক ৯২ শতাংশ। এর মধ্যে পুরুষ ৭৩ দশমিক ৫৪ শতাংশ, নারী ৭০ দশমিক ৫৪ শতাংশ এবং তৃতীয় লিঙ্গ ৪৪ দশমিক ৩৯ শতাংশ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধএলপিজির দাম কেজিতে ১ টাকা ১৬ পয়সা বাড়ল
পরবর্তী নিবন্ধইয়াবাসহ পটিয়া পৌর ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার