জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ (১৬-২০ মে) উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার নগরীর আন্দরকিল্লাস্থ চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের অডিটরিয়ামে জেলা পর্যায়ের এডভোকেসি সভা অনুষ্টিত হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার ফাইলেরিয়াস নির্মূল, কৃমি নিয়ন্ত্রণ ও ক্ষুদে ডাক্তার কার্যক্রমের বাস্তবায়নে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সভার আয়োজন করেন। জেলা সিভিল সার্জন ও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট আন্দরকিল্লা জেনালে হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. সেখ ফজলে রাব্বির সভাপতিত্বে অনুষ্টিত সভায় মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের এমওডিসি ডা. মোহাম্মদ নুরুল হায়দার। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ আসিফ খান। জেলা স্বাস্থ্য তত্বাবধায়ক সুজন বড়ুয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এডভোকেসী সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের এমওসিএস ডা. মোহাম্মদ ওয়াজেদ চৌধুরী অভি, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এস.এম জিয়াউল হায়দার হেনরী ও সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হৃষিকেশ শীল। সভায় বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তা, প্রতিনিধি, শিক্ষক, স্যানিটারী পরিদর্শক, স্বাস্থ্য পরিদর্শক, স্বাস্থ্য কর্মী, মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট, ইপিআই কর্মকর্তা, পরিবার পরিকল্পনা কর্মী ও কৃমি নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে নিয়োজিত কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে জেলা সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, আগামী ১৬-২০ মে পর্যন্ত সপ্তাহব্যাপী অনুষ্ঠিত হবে কৃমি নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচী ও ক্ষুদে ডাক্তারের মাধ্যমে স্বাস্থ্য পরীক্ষা কার্যক্রম। জেলার প্রত্যেক উপজেলার ৫-১৬ বছর বয়সী প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থী, বিদ্যালয় বহির্ভূত, ঝড়ে পড়া পথ শিশু, শ্রমজীবি শিশু ও বেদে পরিবারের শিশুসহ সকল শিশুকে ক্ষুদে ডাক্তারদের মাধ্যমে এক ডোজ কৃমি নাশক ট্যাবলেট “মেবেন্ডাজল-৫০০ মিঃ গ্রাম” খাওয়ানো হবে। এটি চুষে খাবার ট্যাবলেট নয়, ভরা পেটে পানি দিয়ে গিলে খাওয়াতে হবে। কোন শিশু পুরো ট্যাবলেট গিলে খেতে অসমর্থ হলে তাকে জোর না করে অন্য ট্যাবলেট ভেঙ্গে টুকরা টুকরা করে গিলে খাওয়ানো যেতে পারে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।