চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার নব নির্বাচিত কমিটির প্রথম সভা নিয়ে অনিশ্চয়তা

ক্রীড়া প্রতিবেদক | বুধবার , ২৯ নভেম্বর, ২০২৩ at ১০:২৭ পূর্বাহ্ণ

গত ২৫ নভেম্বর শেষ হয়েছে চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাচন । এরই মধ্যে নির্বাচনের গেজেট প্রকাশ হয়ে গেছে। আজ ২৯ নভেম্বর বুধবার নব নির্বাচিত কমিটির প্রথম সভা আহবান করা হয়েছে। কিন্তু এরই মধ্যে আদালতের একটি রায়ে এই সভা হবে কিনা তা নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। নির্বাচনের আগে মাদারবাড়ি মুক্তকন্ঠ ক্লাবের প্রতিনিধি নিয়ে আদালতে মামলা হয়। ফলে ভোটার তালিকায় উক্ত ক্লাবের তিন প্রতিনিধির নাম তোলা হয়নি। নির্বাচনের মনোনয়নপত্র ক্রয়ের শেষ দিনে পাল্টা আরেক মামলায় নিজেদের প্রতিনিধিত্ব বৈধ প্রমাণ করে রায় লাভ করে। ফলে ক্লাবটির দুই প্রতিনিধি দিদারুল আলম চৌধুরী এবং এম এ মুছা বাবলু নির্বাচনে অংশ গ্রহনের সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে। কিন্তু নির্বাচনের ঠিক একদিন আগে হারুন অর রশিদ গং হা্‌ইকোর্টে মামলা করলে আদালত আবার তিনজনের প্রতিনিধিত্ব বাতিল করে প্রথম মামলার দেওয়া রায় বহাল করে। ফলে নির্বাচনের আগের দিন আবার দিদারুল আলম চৌধুরী, এম এ মুছা বাবলু এবং আশরাফুজ্জামান আশরাফের প্রতিনিধিত্ব স্থগিত করে। ফলে ব্যালটে নাম ছাপানোর পরও তাদের প্রতিনিধিত্ব বাদ দেওয়া হয়। ফলে তারা নির্বাচনের অংশ নিতে পারেনি।

নির্বাচনে পর মাদারবাড়ি মুক্তকন্ঠ ক্লাবের সভাপতি হাজি ফয়েজুর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক আশরাফুজ্জামান আশরাফ সুপ্রিম কোর্টের এফিলেড ডিভিশনে তাদের প্রতিনিধিত্ব ফিরে পাওয়া, গত ২৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনের সকল কার্যক্রম স্থগিত করা এবং নির্বাচন পরবর্তী কার্যক্রম স্থগিত করার আবেদন করে।

সুপ্রিম কোর্টের মাননীয় চেম্বার জজ তাদের আবেদনের উপর শুনানী শেষে তাদের আবেদন মঞ্জুর করেন। যাতে বলা হয়েছে চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাচন সংক্রান্ত কার্যক্রমের উপর ৮ সপ্তাহের জন্য স্থগিতাদেশ প্রদান করা হয়। আর তাতেই দেখা দিয়েছে আজকের সভা নিয়ে অনিশ্চয়তা। এদিকে সিজেকেএস নব নির্বাচিত সহ সভাপতি হাফিজুর রহমান জানিয়েছেন তারা কোর্টের একটি কপি পেয়েছেন। আর সেটা তারা সংস্থার সভাপতি জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন। তিনি এই বিষয়ে সরকারি কুশলীর মতামত নেবেন। তারপর পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হবে। এদিকে মাদারবাড়ি মুক্তকন্ঠ ক্লাবের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের এফিলেড ডিভিশন যে রায় প্রদান করেছেন তাতে তাদের বিরুদ্ধে দেওয়া আগের রায় স্থগিত করেছে। তবে পাশাপাশি নির্বাচন সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম ৮ সপ্তহের জন্য স্থগিত করার নির্দেশ দিয়েছে। যেহেতু নির্বাচন সম্পন্ন হয়ে গেছে তাই নির্বাচন সংক্রান্ত কার্যক্রম কতটুকু সেটাই এখানে বিবেচ্য বিষয়। যদি নব নির্বাচিত কমিটির প্রথম সভাকেও নির্বাচন সংক্রান্ত কার্যক্রম হিসেবে ধরা হয় তাহলে আজকের সভা নিয়ে থাকছে অনিশ্চয়তা। তেমনটি মত দিয়েছেন বেশ কয়েকজন আইনজীবী। তাই এখন দেখার বিষয় সরকারী কুশলী কি মতামত দেন আর সে মতামতের ভিত্তিতে আজকের সভা অনুষ্ঠিত হয় কিনা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচিটাগাং ক্লাবে টেপ টেনিস ক্রিকেটের পুরস্কার বিতরণ
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামের ছেলে দিপুর টেস্ট অভিষেক