চট্টগ্রামে ১২ হাজার সিএনজি অটোরিকশা স্ক্র্যাপিং

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ at ৬:৩৩ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রামে ইকোনমি লাইফ (আয়ুষ্কাল) পেরিয়ে যাওয়া ১৩ হাজার সিএনজি চালিত অটোরিকশার মধ্যে ১২ হাজার স্ক্র্যাপিং সম্পন্ন করেছে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ)। শেষ দফায় গতকাল রোববার পর্যন্ত প্রায় চার হাজার গাড়ি স্ক্র্যাপকরণ কাজ শেষ হয়েছে। সীমাবদ্ধ জনবলের মধ্যে এবং কোভিড প্রাদুর্ভাবে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে এসব সিএনজি অটোরিকশা স্ক্র্যাপ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিআরটিএ কর্মকর্তারা।
বিআরটিএ সূত্রে জানা যায়, ২০০১ সাল থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীতে ১৩ হাজার করে ২৬ হাজার সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিবন্ধন দেয় বিআরটিএ। এসব গাড়ির মেয়াদকাল নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫ বছর করে। যে কারণে পরিবেশগত ক্ষতির প্রভাবমুক্ত হতে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ইতোমধ্যে ঢাকায় নিবন্ধিত ১৩ হাজার সিএনজি ইতোমধ্যে স্ক্র্যাপ করে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। চট্টগ্রামে ২০০১, ২০০২ ও ২০০৩ মডেলে প্রস্তুতকৃত এমন সাড়ে আট হাজার সিএনজি অটোরিকশা ২০১৮ ও ২০১৯ সালে প্রতিস্থাপন সম্পন্ন হয়। করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে প্রায় ১০ মাস বন্ধ ছিল মেয়াদোত্তীর্ণ অবশিষ্ট অটোরিকশাগুলোর স্ক্র্যাপকরণ। গত ১৬ নভেম্বর থেকে তৃতীয় দফায় ২০০৪ সালে প্রস্তুতকৃত ৩৯১৯টি অটোরিকশা ধ্বংস কার্যক্রম শুরু হয়। গতকাল রোববার পর্যন্ত ৩৫৯১টির স্ক্র্যাপিং করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিআরটিএ। স্ক্র্যাপকৃত এসব অটোরিকশার মালিকদের অনুকূলে নতুন কেনা গাড়ির নিবন্ধন দিচ্ছে বিআরটিএ।
বিআরটিএ চট্টগ্রাম বিভাগের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ দৈনিক আজাদীকে বলেন, চট্টগ্রাম মহানগর এলাকার জন্য নিবন্ধিত অটোরিকশাগুলোর ইকোনমি লাইফ (সময়সীমা) ইতোমধ্যে ১৫ বছর হয়েছে। পরিবেশবান্ধব নগরী গড়তে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক মেয়াদোত্তীর্ণ এসব অটোরিকশা স্ক্র্যাপিং করা হচ্ছে। স্ক্র্যাপ করার পর ওইসব গাড়ির মালিকদের নতুন গাড়ি প্রতিস্থাপনপূর্বক নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে। কোভিডের কারণে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে সড়ক ও সেতুবিভাগের মাননীয় মন্ত্রী, সচিব ও বিআরটিএ চেয়ারম্যানের নির্দেশনা অনুযায়ী এসব গাড়ি স্ক্র্যাপ করা হচ্ছে।
বিআরটিএ চট্টগ্রাম মেট্রো সার্কেলের সহকারী পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং) তৌহিদুল ইসলাম বলেন, আমাদের সীমাবদ্ধ জনবল রয়েছে। নিয়মিত কাজের মাঝামাঝি সিএনজি অটোরিকশাগুলো স্ক্র্যাপিং ও নতুন নিবন্ধন দেওয়া হচ্ছে। এসব কাজে ঝক্কিও কম নয়। তারপরেও চট্টগ্রামের প্রায় ১২ হাজার অটোরিকশা ইতোমধ্যে স্ক্র্যাপ করে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। ২০০৫ সালের তৈরি আরো এক হাজার অটোকিশা রয়েছে। যেগুলো মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পাওয়ার পর স্ক্র্যাপিং করা যাবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধডিবি পুলিশ পরিচয়ে সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে ছিনতাই
পরবর্তী নিবন্ধপানির জন্য রোজ হাঁটতে হয় দুই কিলোমিটার পাহাড়ি পথ!