চট্টগ্রামে সুলভ মূল্যে মৎস্য ও প্রাণিজ পণ্য বিক্রির দাবি

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিবের সাথে ক্যাবের মতবিনিময়

| বৃহস্পতিবার , ৪ এপ্রিল, ২০২৪ at ১০:৫৫ পূর্বাহ্ণ

মাহে রমজানে রাজধানী ঢাকা শহরে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে সুলভ মুল্যে মৎস্য ও প্রাণিজ পণ্য বিশেষ করে মাছ, গরুর মাংস, দুধ, ডিম বিক্রির ভাম্যমান ব্যবস্থা করা হলেও দেশের বৃহত্তম নগরী, বাণিজ্যিক রাজধানীখ্যাত চট্টগ্রামে সে ধরনের কোনো প্রক্রিয়া না থাকায় চট্টগ্রামবাসী মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ সেবা থেকে বঞ্চিত। একসময় জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস বেসরকারি খামারিদের সহযোগিতায় রমজানে দুধ, ডিম বিক্রির ব্যবস্থা করা হলেও তা বর্তমানে চালু নেই। বিষয়টি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাৎ সেলিম উদ্দীনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তিনি বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনার আশ্বাস দেন। গত ২ এপ্রিল চসিক কার্যালয়ে মতবিনিময়ে দেশের ক্রেতাভোক্তাদের স্বার্থ সংরক্ষনকারী জাতীয় প্রতিষ্ঠান কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রামের নেতৃবৃন্দ উপরোক্ত বিষয়টির অবতারণা করেন।

ক্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইনের নেতৃত্বে ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, ক্যাব মহানগরের যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিম জাহঙ্গীর, ক্যাব যুব গ্রুপ মহানগরের সভাপতি আবু হানিফ নোমান আলোচনায় অংশনেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. রেয়াজুল হক, চসিক প্রধান নির্বাহী শেখ মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, চেম্বারের পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আবদুর রহিম, বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. একেএম হুমায়ুন কবির, সিটিকরপোরেশনের প্রধান পরিছন্ন কর্মকর্তা লতিফুল হক কাজমি প্রমুখ।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব মোহাৎ সেলিম উদ্দীন বলেন, সরকারের সীমিত সামর্থে ঢাকা শহরে চলমান থাকলেও দেশের অন্যান্য জেলা বিশেষ করে চট্টগ্রামে এই সেবাটি চালু করা দরকার। তবে বেসরকারি উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীরা যদি এগিয়ে আসেন তাহলে বিষয়টি অবশ্যই টেকসই হবে। সরকারের পক্ষ থেকে যাবতীয় অবকাঠামো ও প্রশাসনিক সহযোগিতা প্রদান করা হবে। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসকদের সাথে আলাপ করেছেন। বেসরকারি উদ্যোক্তারা এগিয়ে এলে মন্ত্রণালয় বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করবেন। তবে চট্টগ্রাম যেহেতু বৃহত্তম শহর, অনেক বিদেশি লোকজন এখানে বসবাস করেন, সে কারণে নিরাপদ মৎস্য ও প্রানিজ পণ্য বিক্রির বিষয়টি নিশ্চিত না হলে আন্তর্জাতিকভাবে দেশের সুনাম ক্ষুণ্ন হবে বলে মত প্রকাশ করেন।

ক্যাব নেতৃবৃন্দ বলেন, জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের সাথে পোল্ট্রি সেক্টরে সুশাসন নিশ্চিতকরণ কাজের অংশ হিসাবে যৌথভাবে কার্যক্রম পরিচালনায় চট্টগ্রামে ড্রেসড ব্রয়লার বিক্রি কার্যক্রম সম্প্রসারণে অনেকগুলো উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। তারই অংশ হিসাবে চট্টগ্রামে একটি স্বাস্থ্যসম্মত আধুনিক পশু জবাইখানা স্থাপনের দাবি বেশ অনেক দিন ধরে। এছাড়া সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন ২১টি বাজারে লাইভ বার্ড বিক্রি, মুরগি জবাই, মাছ পরিষ্কার, পানি সরবরাহ নিশ্চিতসহ বাজারগুলোতে স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ নিশ্চিতে অনেকগুলি উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। এছাড়া ক্যাব চট্টগ্রাম, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তর, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সমন্বয়ে যৌথ বাজার মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধগৌরবদীপ্ত বিজয়ের অবদান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের
পরবর্তী নিবন্ধবাবা হারালেন পার্থ বড়ুয়া